• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০, ০৪:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০, ০৪:৪৩ পিএম

স্ত্রী ও ২ কন্যা হত্যা 

যুক্তরাজ্যে এক বাংলাদেশিকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড

যুক্তরাজ্যে এক বাংলাদেশিকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড

নিজের দুই কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আব্দুস শুক্কুরকে ৪০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রিটেনের আদালত। খুন করে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়েছিলেন তিনি। একপর্যায়ে আত্মগোপন করেন ভারতে। তবে ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি তিনি। ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের আদালত তাকে এ কারাদণ্ড দেন।

ভারত ও যুক্তরাজ্যে এরইমধ্যে সাড়ে ৬ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন শুক্কুর। ঘোষিত সাজার মেয়াদ থেকে এই সময় বাদ যাবে। শুক্কুরের বয়স এখন ৪৭ বছর।

২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির ঘটনা। পূর্ব লন্ডনের ইস্ট হ্যাম এলাকার বাসায় স্ত্রী জুলি বেগম (২৬) এবং দুই কন্যা আনিকা (৫) ও তানহাকে (৬) হত্যা করেন শুক্কুর। ১০ জানুয়ারি ওই বাসা থেকে মা ও দুই সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেই বাংলাদেশে পাড়ি জমান রেস্তোরাঁর শেফ হিসেবে কাজ করা শুক্কুর।

বাংলাদেশে শ্যালিকার কাছে স্ত্রী-সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেন শুক্কুর। এ কথা প্রকাশ না করতে শ্যালিকা ও তার সন্তানদেরও হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। কয়েক বছর পর ভারতে তার সন্ধান মেলে।

২০১৩ সালের মে মাসে ভারতে গ্রেফতার হন শুক্কুর। ২০১৯ সালের এপ্রিলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালত বৃহস্পতিবার আলোচিত ওই খুনের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করল।

আদালতের শুনানি থেকে জানা যায়, আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে যখন বিয়ে হয়, তখন জুলি বেগমের বয়স ছিল ১৯ বছর। শুক্কুরকে  যুক্তরাজ্যে আনার পর একপর্যায়ে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। ছেলেসন্তান না হওয়ায় জুলি বেগমের ওপর খুশি ছিলেন না শুক্কুর। তার যুক্তরাজ্যে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নেও স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। এমন কলহের জের ধরেই শুক্কুর স্ত্রী-সন্তানদের খুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে যান।

বিচারক রিচার্ড মার্কস এই হত্যাকাণ্ডকে পৈশাচিক, নির্মম ও কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেন। ওই ঘটনাকে মাত্র ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার নারী জুলি বেগম ও দুই শিশুর ওপর ৬ ফুট উচ্চতার বিশালদেহী ঘাতকের জঘন্য আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অপরাধের পরও কোনো প্রকারের অনুশোচনা না থাকায় খুনিকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক।

এফসি

  • প্রবাস এর আরও খবর