ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু'পাশে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গাছ। এ দৃশ্যটি দেখে যে কারো নয়ন জুড়িয়ে যাবে মুহুর্তেই। তবে কুমিল্লা অংশের এসব বৃক্ষের উপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন। ভ্যানে করে ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে গাছের গোড়ায়। শুধু তাই নয়, এসব ময়লায় ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে আগুন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে এমন দৃশ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার দাউদকান্দি, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ ও চান্দিনা এলাকা জুড়ে রয়েছে ময়লার স্তুপ। চিপসের মোড়ক, কাগজ, কলার খোসা, কোমল পানীয়র পরিত্যক্ত বোতল জাতীয় ময়লা কোথাও না সরিয়ে এখানেই দেয়া হচ্ছে আগুন। আর ওই আগুনে পুড়ে মরছে পরিবেশবান্ধব মূল্যবান অনেক গাছ। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলতে থাকায় অধিকাংশ গাছ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ক্রমশই গাছগুলো মরে মহাসড়কের ওপর ভেঙ্গে পড়ছে গাছের ডালপালা। এতে যেকোনে সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে মহাসড়কের চলাচলরত গাড়ি চালক ও যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানান, এভাবে ময়লায় আগুন দেয়ায় মরে গেছে ১০০ টিরও বেশি মূল্যবান গাছ। তাছাড়া বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশপাশের পরিবেশ বিপন্ন হয়ে উঠেছে। বর্জের দুর্গন্ধ পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, বছরের পর বছর এলাকার সব গৃহস্থালি বর্জ্য ভ্যান ও ভটভটিতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেলা হয়। পরে ওই আগুন দিয়ে বর্জ্য পোড়ানো হয়। এ কারণে বহু গাছ মরে গেছে।
 
এখানে ময়লা ফেলার সময় কথা হয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী রনি ও তমালের সঙ্গে। এক বছর ধরে তারা নিয়মিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছেন। তারা জানান, স্থানীয় উদ্যোগে বাসাবাড়ি থেকে গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহ করে সব ময়লা ভ্যানে করে এনে এসব জায়গায় ফেলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলে গাছ মেরে ফেলার বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগজনক। কোনোভাবে সড়কের ওপর ময়লা ফেলা যাবে না। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।  

সাইসে