• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২০, ০৩:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০২০, ০৩:৪৮ পিএম

ফেসবুক থেকে

অহৈতুকী সুধীর চক্রবর্তী

অহৈতুকী সুধীর চক্রবর্তী

শ্রদ্ধায় আপনি মাথা নত হয় এমন অতি বিরল মানুষ সুধীর চক্রবর্তী। তাঁর অথৈ পান্ডিত্যর কারণেই নয়, ভালবাসার গুনে। মানুষকে ভালোবাসতে ভালো লাগতো বলেই মানুষ ভজা প্রান্তিক মানবধর্মগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন, এবং আমাদেরও প্ররোচিত করেছিলেন।

বহু তরুণ কবি লেখকদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য করেছিলেন। এখন অতি বিখ্যাত দু'তিন জন কবি/সাহিত্যিক প্রাথমিক ভাবে তাঁর সহায়তায় কিভাবে বিকশিত হয়েছেন তা আমি জানি তাঁদের কথা আমি বলছিনা, ওঁদের বলার কথা।

তিনি আকাশবাণীর নিয়মিত বক্তা ছিলেন শুধু নয়, বহু দিন সঙ্গীতশিল্পী নির্বাচনের অডিশন বোর্ডে ছিলেন। শিল্পী নির্বাচনে এসে আমার মত এক অর্বাচীনের ঘরে (বিজ্ঞান বিভাগে) ঢুকে বলতেন একটু গল্প করে যাই। একবার স্বপন বরণ আচার্য্যের একটা কবিতার বই দিয়ে বললেন, পড়ে দেখো বড় ভালো লিখছে ছেলেটা। একদিন বললেন, আনসার উদ্দিন বড় ভালো লিখছেন, বুঝলে, এক্কেবারে খাঁটি গাঁয়ের রূপ রস গন্ধ পাবে, আনসারের একটা গল্পের বই বেরিয়েছে, কিনে নিও। একদিন তমালের কথা, একদিন মিলন দত্তের কথা। নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য ভাবতেন। প্রত্যাশাহীন ভালোবাসা, বৈষ্ণবরা যাকে বলে অহৈতুকী।

আমিও ওঁর স্নেহে সিক্ত। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ক্রমশ গরীব হয়ে যাচ্ছি। আমার মতো এক সামান্য লেখককে কত বড় সম্মান দিয়েছিলেন সেটা দেখাতে ইচ্ছে করছে।

আমার অশ্রুসজল প্রণাম নেবেন স্যার।