• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২০, ০৪:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২২, ২০২০, ০৪:৫৯ পিএম

একজন দূরদর্শী ছড়াকার

একজন দূরদর্শী ছড়াকার

তার মানে আমি কি একজন দূরদর্শী ছড়াকার!!??

আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডা। দশটা প্রভিন্স বা প্রদেশ রয়েছে এই দেশে। আমি আছি সবচে বড় প্রভিন্স অন্টারিওতে। অটোয়া-টরন্টো এইগুলো অন্টারিওর আওতায়। করোনার দ্বিতীয় আগ্রাসী বিস্তারের কারণে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে পুরো প্রভিন্সটিতে ঘোষণা করা হয়েছে লক ডাউন। এমনিতেই ঘরবন্দী জীবন গেলো নয়মাস ধরে। ফুল লক ডাউনে চলে গেলো তো ঘরে আটকে থাকতে থাকতে একেবারে ভূঁত হয়ে যাবো!

যদিও, আগেই ২০১৩ সালে আমি একবার ভূত হয়েছিলাম বটে,তবে সেটা কাল্পনিক ছিলো। এইবার সেটা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে!

তার মানে আমি কি একজন দূরদর্শী ছড়াকার!!??

নইলে সাত বছর আগেই এইটা লিখলাম কী করে! হাহ হাহ হাহ।

লক ডাউনের খ্যাতা পুড়ি, চলেন একটা ছড়া পড়ি...

 

ভূঁত ছঁড়াকার

লুঁৎফর রঁহমান রিঁটন

আঁমি এঁকটা ভূঁত ছঁড়াকার লিঁখতে পাঁরি ছঁড়া

আঁমার ছঁড়া ভূঁত সঁমাজের ভূঁত-শিঁশুদের পঁড়া।

ভূঁতের ছেঁলেমেঁয়েরা সঁব আঁমায় ভাঁলোবাসে

আঁমার ছঁড়া পঁড়ার সঁময় কুঁতকুঁতিয়ে হাঁসে।

ছঁড়া লিঁখে ভূঁত সঁমাজে অঁনেক পঁদক পেঁলাম

ভূঁতরা আঁমায় মাঁন্য কঁরে পঁথ-ঘাঁটে দেঁয় সেঁলাম।

ভূঁতের দেঁশে বঁইমেঁলা নেঁই বঁইয়ের দোঁকান আঁছে

দোঁকানগুলো বাঁনানো হঁয় ঝাঁকড়া তেঁতুল গাঁছে।

ভূঁতের রাঁজ্যে শিঁল্পীরা সঁব দাঁরূণ ছঁবি আঁকে

আঁমার বঁইয়ের পাঁতায় পাঁতায় ইঁলাস্ট্রেশন থাঁকে।

খুঁব সুঁন্দর রঁঙ ঝঁলোমল ইঁলাস্ট্রেশনগুঁলো

বেঁগুনি রঁঙ গাঁজর এঁবং সঁবুজ রঁঙের মূঁলো।

কাঁকগুলো সঁব মেঁরুন রঁঙের কোঁকিলগুলো শাঁদা

ভূঁতের দেঁশের মিঁউজিয়মে এঁকটাও নেঁই গাঁধা!

লাঁলটুকটুক বেঁড়াল এঁবং নীঁল রঁঙা সঁব ঘেঁউ

ভূঁতের দেঁশের পুঁকুরে হঁয় সঁমুদ্দুরের ঢেঁউ!

ভেঁবেছিলাম পঁত্রিকাতে পাঁঠাই কিঁছু ছঁড়া

মাঁনুষ ছঁড়াকারের ছঁড়া যাঁয় নাঁ মোঁটে পঁড়া

বিঁদঘুটে আঁর বিঁচ্ছিরি সঁব ছঁন্দ ওঁদের হাঁতে

ওঁসব ছঁড়া দেঁই নাঁ আঁমরা ভূঁত-শিঁশুদের পাঁতে।

ভূঁত-শিঁশুরা ফাঁলতু ছঁড়া অঁপছন্দ কঁরে

আঁমার ছঁড়াই পঁড়ানো হঁয় তাঁইতো ঘঁরে ঘঁরে।

এঁবার মেঁলায় বেঁরিয়েছিলো কোঁন্‌ সেঁ ছঁড়ার বঁই?—

বঁইটার নাঁম ‘‘ট্যাঁঙরা মাঁছকে ল্যাঁঙ মেঁরেছে কৈঁ’’!

প্রঁচ্ছদ আঁর অঁলংকরণ কেঁ কঁরেছে জাঁনো?

ছঁবি দেঁখে ভিঁড়মি খাঁবে শিঁল্পী হাঁশেম খাঁনও।

মঁজার মঁজার রঁঙিন ছঁবি শ্রুঁভং এঁষের আঁকা

শ্রুঁভং আঁমার ভাঁতিজা হঁয় আঁর আঁমি তাঁর কাঁকা।

আঁমার ছঁড়া পঁড়ে পঁড়েই তোঁমরা হবে জ্ঞাঁনী

পঁত্রিকাতে পাঁঠিয়ে দিঁলাম তাঁই এঁ ছঁড়াখানি।

রচনাকাল/ অটোয়া ০৯ ডিসেম্বর ২০১৩

[ইলাস্ট্রশন/ সুজন চৌধুরী।]