• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০১৯, ১২:১৪ পিএম

কাদেরের চিকিৎসায় ঢাকা আসছেন দেবী শেঠি

কাদেরের চিকিৎসায় ঢাকা আসছেন দেবী শেঠি
ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি (ইনসেটে: চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদের)


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসছেন ভারতের নামকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি।

সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সোয়া ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ওবায়দুল কাদেরকে দেখে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

হানিফ বলেন, দেবী শেঠি আজ দুপুরে ঢাকায় আসার কথা। এছাড়া আজ বেলা একটার দিকে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া ব্রিফ করবেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিয়েশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক জাগরণকে বলেন, আমি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ বিমানবন্দরে রয়েছি। বেলা ১২টায় দেবী শেঠির পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় তার আসতে দেরি হবে। তাকে রিসিভ করতে আমরা যাচ্ছি। তিনি এলে তাকে সরাসরি আমরা বিএসএমএমইউয়ে নিয়ে আসব।

এদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ ও বায়ু চলাচল বেলুন পাম্প ব্যবহার করে স্বাভাবিক রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

অবশ্য এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া ও হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করছেন না।

তবে নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দৈনিক জাগরণকে জানান, তার (ওবায়দুল কাদের) হৃৎপিণ্ডে রক্ত ও বায়ু প্রবাহ স্বাভাবিক নয়। এজন্য বেলুন পাম্পের মাধ্যমে রক্ত ও বায়ু প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার আরও বলেন, ওবায়দুল কাদেরের রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এটা খুব ঘনঘন উঠানামা করছে।

অন্যদিকে, তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানান্তরের উদ্দেশে দেশে আনা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনও বিমানবন্দরে অবস্থান করছে।

এ প্রসঙ্গে রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছিলেন, সকাল এবং দুপুরের চেয়ে রাতের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উনি চোখ খুলে তাকান, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হল পানি খাবেন কি না, উনি মাথা নেড়ে উত্তর দিয়েছেন এবং হাত পা নাড়ছেন। উনার প্রস্রাবও হচ্ছে। দুপুরের দিকে প্রস্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন প্রস্রাব হচ্ছে। ব্লাড প্রেশার অনেকটা স্টেবল হয়েছে। উন্নতির ধারা যেহেতু অব্যাহত হয়েছে, সেহেতু সিঙ্গাপুরের টিমের সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত উনি এখানেই থাকবেন। পরবর্তীতে অবস্থার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

আরএম/টিএস/আরআই