• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:৩০ পিএম

বিএসএমএমইউ

তথ্য-প্রমাণ নিয়ে অভিযোগ ২ ঢাবি শিক্ষার্থীর

তথ্য-প্রমাণ নিয়ে অভিযোগ ২ ঢাবি শিক্ষার্থীর
অভিযুক্ত বিএসএমএমইউ-এর দুই স্টাফ-ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এ চিকিৎসা নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় তারা রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাহবুবুল হকের কাছে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। এর আগে ভুক্তভোগীরা গত ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগের চেয়ারম্যান বরারব লিখিত অভিযোগ করেন। 

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হয়রানি ও হামলার শিকার দুই শিক্ষার্থী হলেন-আবির মোহাম্মদ স্বচ্ছ ও জবা ইয়াসমিন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী। আবির বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও জবা ইয়াসমিন বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী। 

ঘটনার বিষয়ে জবা ইয়াসমিন হাসপাতালের পরিচালককে অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার তিনি মেডিকেলে কয়েকটি টেস্ট করাতে যান। দুইটা টেস্ট করাতে পারলেও আলট্রাসনোগ্রাম করাতে না পারার কারণে পরের দিন মঙ্গলবার ভোর ৬টায় তিনি আবার হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতালের স্টাফরা টাকা নিয়ে লাইনের পেছন থেকে নিজেদের স্বজন বলে অন্যদের চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়।

এই কারণে লাইনের সামনে থেকেও তিনি টেস্ট করাতে সক্ষম হননি। এই ঘটনায় জবা ইয়াসমিন ওইদিনই (মঙ্গলবার) রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগের চেয়ারম্যান বরারব লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু বিভাগের চেয়ারম্যান তাদের টাকা নেয়ার প্রমাণ চান ও ভিডিও করে নিয়ে আসতে বলেন।  ওই দুই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে টাকা নেয়ার অনিয়মের ভিডিও করেন। ভিডিও করার কারণে হাসপাতালের স্টাফরা দুই শিক্ষার্থীর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের ওপর হামলা করে। পরে রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগের চেয়ারম্যানের সহকারী দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের কক্ষে নিয়ে যান। 

জবা ইয়াসমীন ও আবির মোহাম্মদ স্বচ্ছ বলেন, ঘটনার পরে তারা আমাদের টেস্ট করিয়ে দিতে চায়। কিন্তু এটা তো কোনো সমাধান নয়। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই। 

রোববার হাসপাতালের পরিচালকের কাছে দুই ভুক্তভোগীর অভিযোগ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্য তানভীর হোসেন সৈকত, শাহবাগ থানার এস আই মাহবুব।

ডাকসুর সদস্য সৈকত পরিচালককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সুবিধার দাবি জানান। 

হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাহবুবুল হক ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঘটনার প্রমাণ জমা নেন। তিনি দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিভাবে বিশেষ সুবিধায় চিকিৎসা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।

এমআইআর/এসএমএম