শয্যা সংখ্যা বাড়াতে প্রবল আগ্রহী হয়ে উঠেছে ঢাকার তেজগাঁওস্থ জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিচালনাকারীরা।  বর্তমানে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনে ১৩৫ শয্যা থাকলেও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসপাতালটিতে মোট ২৫০ শয্যা করা হবে ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনে।  

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবু হানিফ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) জাগরণকে বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ রোগীর চাপ বেড়েছে, তাতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে বেশ জোরদারভাবেই আমরা কাজ করছি।  

ইনস্টিটিউটটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার রোগী আসছেন এবং প্রায় সব শয্যাই ভর্তি থাকে প্রতিদিন। তাছাড়া আছে জরুরি বিভাগও। 

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দুই বিঘা জমির ওপর ২০০৯ সালের জুলাইয়ে এ হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় চার বছর পর ২০১৩ সালে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

২৫০ শয্যার এ হাসপাতালের জন্য ১২ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা আছে সরকারের।  বর্তমানে চালু ১৩৫ শয্যার কার্যক্রম চলছে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনে।  

নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আবু হানিফ- ছবি: জাগরণ

পরিচালক আবু হানিফ দৈনিক জাগরণকে বলেন, একটা সময়ে মানুষ এই হাসপাতাল সম্পর্কে খুব একটা জানতো না, রোগী আসত কম, রোগী ভর্তি হত কম, অপারেশন হত কম। কিন্তু এখন এই হাসপাতালের সুনাম অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। এতো কম খরচে নাক-কান-গলার সর্বোচ্চ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়টি নেই। এসব ধরে রাখতে হলে এবং উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়াতে হলে শয্যা সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো প্রয়োজন।  

ইনস্টিটিউটটিতে সাইনাসের সমস্যা থেকে শুরু করে এন্ডোসকপির সাহায্যে নাকের হাড় বাঁকা, মাংসবৃদ্ধি, নাকের পলিপ ও টিউমার অপারেশন, নাক ডাকা, কানের শ্রবণ মাত্রা পরীক্ষা ও বধিরতার কারণ, কানের পর্দার ছিদ্র পরীক্ষা, শ্রবণজনিত মাথা ঘোরানো, জন্মগত শ্রবণস্বল্পতা/বধিরতার কারণ নির্ণয়, দেরিতে শিশুর কথা বলার কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের কারণ, কণ্ঠনালির ক্যানসার, স্বরনালি পলিপ অপসারণ, গলগণ্ডসহ থাইরয়েডের সব রোগ, নবজাতকের শ্রবণমাত্রা পরীক্ষা ও বিচ্যুতি থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নাক-কান-গলার প্রায় সব ধরণের বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।  

এছাড়া দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে আছে উচ্চতর পড়াশোনার সুযোগও।  

আরএম/টিএফ