• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম

বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করার দাবি

বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করার দাবি
স্কুল টিফিন-প্রতীকি ছবি

‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্য অর্জনে অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেশের সকল বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনগুলোতে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করার দাবি করেছেন আলোচকরা। তারা বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এসব রোগের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু না হলেও শারিরীক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষের সিএনআরএস এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের উদ্যোগে আলোচনা সভায় এ দাবি করা হয়।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপত্বিতে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ শাহিন। বক্তব্য রাখেন সিএনআরএসের কমিউনিকেশন ম্যানেজার নূর ই মাহবুবা, ঢাকা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমএ মান্নান মনির। সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

ডা. শাহিন তার প্রবন্ধে বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এসব রোগের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু না হলেও শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগের কারণে শতকরা ৬৫ ভাগ মৃত্যু হয়। অসংক্রামক রোগের জন্য জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ব্যায়াম, মাদক ও তামাক ব্যবহার, পরিবেশ দূষণের সাথে সম্পর্কিত। শুধু সচেতনতা বা চিকিৎসার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। পরিবারের পাশাপাশি স্কুল কলেজগুলোর ক্যান্টিনে স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

গাউস পিয়ারী বলেন, অনেক বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসী এবং প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের ফলে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্কসহ অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

এমএ মান্নান মনির বলেন, আমরা আমাদের স্কুলের ক্যান্টিনে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। টিফিন হিসেবে বাসা থেকে ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে আসতে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করছি। শিশুদের শারিরীকভাবে বিকাশের জন্য নিয়মিত শরীর চর্চার ক্ষেত্রে নজর দেয়া হচ্ছে।

নূরই মাহবুবা বলেন, শিশুরা প্রচারের মাধ্যমে আর্কষণীয় বিজ্ঞাপনের জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং কোমল পানীয়ের প্রতি প্রলুব্ধ হচ্ছে।

সভায় ঢাকা আইডিয়াল স্কুল, আলী হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী, এইড ফাউন্ডেশন, কারিতাস, নবনিতা মহিলা উন্নয়ন সমিতি, কেরানীগঞ্জ হিউমেন রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। 

টিএস/এসএমএম