• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:২৯ পিএম

জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটে লোকবলের ঘাটতি পূরণ জরুরি

জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটে লোকবলের ঘাটতি পূরণ জরুরি
নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট আঙিনা - ছবি : জাগরণ

 

পদ থাকা সত্ত্বেও ৬ বছরে সিনিয়র অডিওলজিস্ট এবং বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারের দেখা পায়নি ঢাকার তেজগাঁওস্থ জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। শুধু এ দুটি পদই নয়, নাক-কান-গলার চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিশেষায়িত এ হাসপাতালের সবধরনের পদেই আছে ঘাটতি। এসব ঘাটতি পূরণ না করলে রোগী সামলানো এবং সেবার মান ধরে রাখা দায় হয়ে উঠেছে।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবু হানিফ দৈনিক জাগরণকে বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ রোগীর চাপ বেড়েছে, সে পরিমাণে লোকবল নেই। এটা মারাত্মক সমস্যা।

বর্তমানে ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনে ১৩৫ শয্যা থাকলেও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসপাতালটিতে মোট ২৫০ শয্যা করা হবে ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনে। সেদিকে কাজ এগুচ্ছে। তবে বর্তমানে থাকা ১৩৫ শয্যার জন্যই সঠিক সংখ্যক লোকবল নেই, সে অবস্থায় ২৫০ শয্যার লোকবল আসবে কি-না, এটা নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ ও শঙ্কাগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা।

ইনস্টিটিউটটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার রোগী আসছেন এবং প্রায় সব শয্যাই ভর্তি থাকে প্রতিদিন। তাছাড়া আছে জরুরি বিভাগও। নির্ধারিত সময়ের বাইরেও রোগীদের সময় দিচ্ছেন চিকিৎসকরা, তাতেও কুলাচ্ছে না।

অধ্যাপক থেকে মেডিকেল অফিসার পর্যন্ত ৯৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ৬৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য সৃষ্ট ৬৪ পদের বিপরীতে ২৫ জন কর্মরত আছেন এখানে। তবে সিনিয়র স্টাফ নার্সের জন্য সৃষ্ট ৭০টি পদ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর জন্য সৃষ্ট ৫২টি পদের সব পূরণ থাকলেও তাতে হচ্ছে না। 

 

নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবু হানিফ- ছবি : জাগরণ

পরিচালক আবু হানিফ দৈনিক জাগরণকে বলেন, একটা সময়ে মানুষ এই হাসপাতাল সম্পর্কে খুব একটা জানতো না। রোগী আসত কম। রোগী ভর্তি হত কম। অপারেশন হত কম। কিন্তু এখন এই হাসপাতালের সুনাম অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছে। সেবার মান ধরে রাখতে হলে লোকবল বৃদ্ধি খুবই প্রয়োজন। এতো কম খরচে নাক-কান-গলার সর্বোচ্চ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়টি নেই।

এ ইনস্টিটিউটটিতে দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে আছে উচ্চতর পড়াশোনার সুযোগ। এছাড়াও আছে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা। এগুলো হলো- সাইনাসের সমস্যা থেকে শুরু করে এন্ডোসকপির সাহায্যে নাকের হাড় বাঁকা, মাংসবৃদ্ধি, নাকের পলিপ ও টিউমার অপারেশন, নাক ডাকা, কানের শ্রবণ মাত্রা পরীক্ষা ও বধিরতার কারণ, কানের পর্দার ছিদ্র পরীক্ষা, শ্রবণজনিত মাথা ঘোরানো, জন্মগত শ্রবণস্বল্পতা/বধিরতার কারণ নির্ণয়, দেরিতে শিশুর কথা বলার কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের কারণ, কণ্ঠনালীর ক্যান্সার, স্বরনালী পলিপ অপসারণ, গলগণ্ডসহ থাইরয়েডের সব রোগ, নবজাতকের শ্রবণমাত্রা পরীক্ষা ও বিচ্যুতি থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নাক-কান-গলার প্রায় সব ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। 

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দুই বিঘা জমির ওপর ২০০৯ সালের জুলাইয়ে এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৪ বছর পর ২০১৩ সালে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আরএম/টিএফ