• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০২:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৪:০৮ পিএম

ভিসি অবরুদ্ধ

বিএসএমএমইউ’এ নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

বিএসএমএমইউ’এ নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়োগ বঞ্চিত চিকিৎসকরা ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। 

চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে চিকিৎসকদের নির্ধারিত মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও মাত্র কয়েকজন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়। শেষে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা ভিসির কার্যালয়ের সামনে সিঁড়ি ও করিডোরে অবস্থান নিয়ে প্রবেশ পথ আটকে রাখে। এ সময় প্রার্থীরা পরীক্ষা দিতে ভিসির কার্যালয়ের দিকে যেতে পারেননি। এরপরই পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকে। পুলিশ আনসারদের সঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা ভিসির কক্ষের সামনে করিডোরে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ বিক্ষোভের মুখে পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় সাময়িক ভাবে মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএসএমএমইউ ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া।

বিএসএমএমইউর ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া -ছবি : কাশেম হারুণ

সরেজমিন দেখা গেছে, ভিসির ভবনের সামনে সিঁড়ি ও করিডোরের পুরো এলাকা আন্দোলনরত চিকিৎসকরা দখল করে বসে আছেন। কোন লোক ওঠানামা করতে পারছেন না। মূল গেটে আনসার বাহিনীর একাধিক সদস্য প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এ প্রবেশপথে রোগী ও তাদের স্বজন বা কর্মচারী কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ডাক্তার বা অন্য কারও পরিচয় নিশ্চিত হয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নিচতলায় গেটে পুলিশের ৩০ জনের মত পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন। দোতলাতেও উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে দুই ভাগে চিকিৎসক ও পুলিশ রয়েছে। 

একজন আন্দোলনকারী বলেন, বিএসএমএমইউর ভিসি তার অনিয়ম ঢাকতে, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ঢাকতে এর আগেও আনসার দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছেন। এবার পুলিশ পাঠিয়েছেন। আমরা কোনোমতেই বিএসএমএমইউ থেকে যাব না। আমরা এখানেই আছি। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বের করে দিলে আমরা রাস্তায় যাব। তবুও দাবি আদায় করে ছাড়ব।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানাবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।

এইচএম/আরআই