• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০১৯, ১০:১৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০১৯, ১০:১৫ এএম

নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ

হার্ডলাইনে বিএসএমএমইউ প্রশাসন

হার্ডলাইনে বিএসএমএমইউ প্রশাসন


চিকিৎসক নিয়োগ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের আন্দোলন মোকাবেলায় হার্ডলাইনে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রশাসন।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে নৈরাজ্যকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কার কী মুভমেন্ট ছিল। 

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ সিন্ডিকেটের এক সদস্য বলেন, বিএসএমএমইউ’র সুনামের স্বার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এসব ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যালয়ে পুলিশ পাহারা থাকছে, যাতে কেউ প্রবেশ করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে।

এদিকে চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত ও মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। 

এদিকে আন্দোলন ও চিকিৎসকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। নিয়মিত আনসার সদস্য ছাড়াও নিচতলা ও প্রশাসনিক ভবনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে সাময়িকভাবে স্থগিত করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।

এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, মেডিক্যাল অফিসার ও মেডিক্যাল অফিসার (ডেন্টাল সার্জারি) নিয়োগ পরীক্ষা স্বনামধন্য জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দকে নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাই মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় কিছু সংখ্যক অকৃতকার্য প্রার্থী পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের যে দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণরুপে অযৌক্তিক, তাই ফল বাতিল বা পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের কোনো সুযোগ নাই।

উল্লেখ্য, ২০০টি মেডিক্যাল অফিসারের পদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএইউ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস ও ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক চাওয়া হয়। প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার দেড় বছর পর গত ২২ মার্চ সেই পরীক্ষা হয়। ১২ মে ফল প্রকাশ করা হয়।

এইচএম/আরআই