• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০১৯, ০১:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০১৯, ০১:৫৪ পিএম

বিএসএমএমইউতে হামলা ভাঙচুরের মামলায় পুলিশের আলামত সংগ্রহ

বিএসএমএমইউতে হামলা ভাঙচুরের মামলায় পুলিশের আলামত সংগ্রহ

মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আলামতের মধ্যে রয়েছে- ভাঙা কাঁচ, অফিসিয়াল কাগজপত্র, আসবাবপত্র।  তাছাড়া আলামত হিসেবে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।  

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এই আলামত সংগ্রহ করা হয় বলে দৈনিক জাগরণকে জানান শাহবাগ থানার ওসি (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান।

মামলায় বলা হয়, ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্যরা ও তাদের পক্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু চিকিৎসক ও চিকিৎসক নেতা গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ সময় ভিসি কক্ষে প্রবেশ দরজার নামফলক ভাঙচুর, কক্ষের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র-কাঁচ ভাঙচুর, অফিসের নথিপত্র বিনষ্ট করা হয়। পাশাপাশি ভিসিকে অশালীন ভাষায় সম্বোধন করে শাসানোও হয়।  

এ ঘটনায় বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ মঙ্গলবার রাতে নাশকতার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন আন্দোলনকারীকে আসামি করা হয়। যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে পরীক্ষা বাতিল চেয়েছে তারাই ভাঙচুর চালিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বিএসএমএমইউতে চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ায় যেসব চিকিৎসক অকৃতকার্য হয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অশান্ত করার ইচ্ছায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় প্রশাসন ভবনের দোতলায় প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে পুলিশ ও আনসারদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে তারা সেখানে জানালা ও দরজার কাচ ভাঙচুর করে। পরে ভিসির কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা সেখানকার মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, মামলায় কয়েকজনের নাম থাকলেও বাকিদের অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং তদন্ত করে যারা ভাঙচুর করেছেন তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- ডা. বিজয় কুমার পাল, ডা. আহসান হাবীব হেলাল, ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার টিপু, ডা. বশির আহমেদ, ডা. মো ফারুক, ডা. তৌহিদুজ্জামান, ডা. মোহাম্মদ জাকির, ডা. এনায়েত উল্লাহ তুষার, ডা. প্রাণ, ডা. শুভাষ কান্তি দে, ডা. দীপঙ্কর, ডা. রাফিউল বারী, ডা. বিদ্যুৎ চন্দ্র দেবনাথ ও ডা. শরীফ। নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।


আরএম/একেএস