• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৩:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৩:৩৪ পিএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এডিস মশার বংশবিস্তার বেশি

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এডিস মশার বংশবিস্তার বেশি
এডিস মশা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকাগুলোয় এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র বেশি পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত জরিপে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে গত কয়েক বছর ধরেই নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় এবারও মশার পরিস্থিতি দেখতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে সিটি করপোরেশন থেকে লার্ভিসাইড ও এডালটিসাইড ছিটানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব সূচক (বিআই) সর্বোচ্চ ৮০ পাওয়া গেছে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে (শরৎ গুপ্ত রোড, গেণ্ডারিয়া)। এ ওয়ার্ডের আওতায় আছে- পুরান দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, গেণ্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকা। ঢাকার এই এলাকাকেই এবার ডেঙ্গুতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হয়েছে। বিআই ৭০ পাওয়া গেছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে, ৪০ পাওয়া গেছে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে, ৩০ পাওয়া গেছে ৪ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ২০ পাওয়া গেছে ৬ নম্বর (দক্ষিণ মুগদাপাড়া ও বাসাবো), ৭ নম্বর (মানিকনগর বিশ্বরোড), ১৪ নম্বর (শেরেবাংলা রোড ও হাজারীবাগ), ১৯ নম্বর (মগবাজার ও রমনা), ২০ নম্বর (সেগুনবাগিচা), ২১ নম্বর (শাহবাগ), ২২ নম্বর (হাজারীবাগ), ৪৩ নম্বর (ফরাসগঞ্জ), ৪৭ নম্বর (গেণ্ডারিয়া, শ্যামপুর, উত্তর যাত্রাবাড়ী) ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে (তেজগাঁও)। সেখানে লার্ভার ঘনত্ব সূচক (বিআই) সর্বোচ্চ ৪০ পাওয়া গেছে। বিআই ৩০ পাওয়া গেছে ১ নম্বর (তুরাগ), ৪ নম্বর (পল্লবী) ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বনানী, গুলশান, বারিধারা) এবং ২০ পাওয়া গেছে ১৬ নম্বর (কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া), ২২ নম্বর (রামপুরা) ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে (বাড্ডা)।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরিপটি গত ৩-১২ মে পর্যন্ত দুই সিটি করপোরেশনের ৯৭ ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে পরিচালনা করা হয়েছে। এর আওতায় ৯৯৮টি বাড়ি পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ করা হয়েছে বলে সানিয়া তাহমিনা জানান।

অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব পরিমাপে ব্যবহৃত সূচক বেশি সেসব এলাকার নির্মাণাধীন ভবনের মেঝেতে জমানো পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিক ড্রাম, প্লাস্টিক বালতি, পানির চৌবাচ্চা ও ফুলের টবে এডিস মশার প্রজনন বা বংশবিস্তার বেশি।

বড় মশার ঘনত্ব নির্ণয়ে এবারই প্রথম বিশেষ প্রযুক্তির ফাঁদ (বিজি সেন্টিনেল ট্র্যাপ-২) ব্যবহার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯টি ওয়ার্ডে ১৪১টি ফাঁদ বসানো হয়। এতে দেখা যায় কিউলেক্স মশা বেশি। প্রতিটি ট্র্যাপে এডিস মশা পাওয়া যায় শূন্য দশমিক ৫৫টি এবং কিউলেক্স মশা পাওয়া যায় গড়ে ৪৬ দশমিক ৭টি।

আরএম/টিএফ