• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৮:৪৮ পিএম

সিলেট মিরর পুরস্কারের জন্য ৪ কীর্তিমানের নাম ঘোষণা

সিলেট মিরর পুরস্কারের জন্য ৪ কীর্তিমানের নাম ঘোষণা
(উপরে বাঁ থেকে, ঘড়ির কাঁটা দিকে) আবেদ খান, মশিউল আলম, নিজামউদ্দিন লস্কর ও পরিমল কান্তি দে

স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা কীর্তিমানদের সম্মাননা জানাতে প্রবর্তিত হয়েছে ‘সিলেট মিরর পুরষ্কার’। প্রথম বছরে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ৪ কীর্তিমানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর সাংবাদিকতায় প্রথিতযশা সাংবাদিক, দৈনিক জাগরণ সম্পাদক ও পিআইবির চেয়ারম্যান  আবেদ খান, সাহিত্যে মশিউল আলম, শিক্ষায় পরিমল কান্তি দে এবং সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য নিজামউদ্দিন লস্করকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই একটি আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। 

বুধবার (১০ জুলাই) সিলেট নগরের একটি অভিজাত হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুরস্কারের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বারাকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, বারাকা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মঞ্জুর কাদির এলিম।

সিলেট নগরের একটি অভিজাত হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সিলেট মিরর পুরস্কার'প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর  - ছবি : জাগরণ

নাম ঘোষণার পূর্বে এমন উদ্যোগের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর বলেন, ‘যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছেন তাদের অবদানের স্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের নাগরিকদের সৃজন-মনন উভয় ক্ষেত্রে আরো উৎসাহ যোগাতে ও দায়িত্বশীল হওয়ায় অনুপ্রাণিত করতে আমরা এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’ সিলেট মিরর পুরস্কার কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘সিলেটের সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বহুমুখী কাজ করতে চায় সিলেট মিরর। সাংবাদিক সহকর্মীদের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা ছাড়া তা বাস্তবায়ন কিছুতেই সম্ভব নয়।’ 

সিলেট মিরর পুরস্কারের নির্বাচন প্রক্রিয়া তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পুরস্কার প্রদানের জন্য খ্যাতিমান নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল আহমদ চৌধুরী ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন। তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে চারটি ক্যাটাগরিতে যোগ্যদের নির্বাচন করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা এরইমধ্যে যারা জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না। তাছাড়া মরণোত্তর পুরস্কারের জন্য কাউকে বিবেচনা করা হবে না।

জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটের আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সিলেট মিরর এ অঞ্চলের সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরছে। শুরু থেকেই পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে, যা সত্যি প্রশংসনীয়। তাদের প্রথম এক বছরে এরকম নানা কর্মকাণ্ড আমরা দেখেছি। আজ বর্ষপূর্তির দিনে তাদের বহুমাত্রিকতার আরেকটি বড় উদাহরণ হচ্ছে, গুণীজনদের সম্মাননা জানাতে এই পুরস্কার প্রবর্তনের উদ্যোগ।’ 
৫ সদস্যের জুরি বোর্ডকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিলেট মিরর এর কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আজকে তারা যে কার্যক্রম শুরু করলেন তা যেন অব্যাহত থাকে, থেমে না যায়।’

বারাকা গ্রুপের মালিকানাধীন সিলেট মিরর-এর পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রাব্বানী চৌধুরী বলেন, ‘দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি, সাংবাদিকতাসহ নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণীরা। দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তাদের অবদান অসামান্য। তাদের এই কাজকে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। কারণ গুণীর কদর না করলে গুণীর জন্ম হয় না। আর এরকম চিন্তা থেকে সিলেট মিরর পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
 
অনুষ্ঠানে বারাকা গ্রুপের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কাদির এলিম বলেন, ‘সবমহলে গ্রহণযোগ্য, বস্তুনিষ্ঠ এবং একটি পরিচ্ছন্ন সংবাদপত্রের স্বপ্ন থেকে বারাকা গ্রুপ পত্রিকাটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়। সেই স্বপ্নের পথে সিলেট মিরর তার এক বছর অতিক্রম করেছে। গুণীজনদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি সিলেট মিরর আগামী দিনগুলোয় বহুমাত্রিক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’

সিলেট মিরর পুরস্কারের প্রতিটির অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা। এছাড়া প্রত্যেককে স্বীকৃতি-স্মারক, ক্রেস্ট, বরণ-উত্তরীয় দেয়া হবে।

এফসি