সৌন্দর্যবর্ধনে এসথেটিক সার্জারি চালুর স্বপ্ন গেঁথে আছে ৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের মনে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলে এটিই হবে বাংলাদেশে প্রথম এসথেটিক সার্জারি কেন্দ্র।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, এই কাজ করার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির শূন্যতা ছিল। ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এবার যন্ত্রপাতি এনে চিকিৎসকদের আরও প্রস্তুত করে এসথেটিক সার্জারি আমরা চালু করব।
তিনি আরও বলেন, দেখা যায় পোড়া রোগীদের নিয়ে আমাদের বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। তাদের জায়গা দিয়ে, চিকিৎসা করে কুলাতে পারতাম না। ফলে এসথেটিক সার্জারির দিকে অগ্রসর হতে পারতাম না। ইনস্টিটিউট হওয়ায় সে বাধা দূর হলো।
প্লাস্টিক সার্জনরা জানান, দেহের সৌন্দর্য বর্ধনে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এসথেটিক সার্জারি। এর মাধ্যমে একজনের রূপ আরেকজনকে দেয়া যায়, চামড়ার রং পরিবর্তনের পাশপাশি কান-নাক-ঠোঁট-স্তনের আকার ও রং পরিবর্তন করা সম্ভব। এমনকি পেট, মাংসপেশীর আকৃতিও পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু এটা বেশ ব্যয়বহুল। উচ্চবিত্তরাই এসব করে থাকেন। এজন্য তারা বিদেশে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেন। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা এসবের স্বপ্ন দেখলেও খরচের কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমরা যদি এসথেটিক সার্জারি মানসম্মতভাবে দেখাতে পারি, তবে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটমুখী হবেন। এতে সরকারের আয় বাড়বে, আমাদের চিকিৎসকরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন।
প্লাস্টিক সার্জনদের দৃষ্টিতে, বর্তমান বাংলাদেশে রূপচর্চার দিকে নারী-পুরুষ- উভয়েই ঝুঁকছেন। নানা প্রসাধনী সামগ্রী যেমনি ব্যবহার করছেন, তেমনি শরণাপন্ন হচ্ছেন চর্ম চিকিৎসক ও প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে। এমন আগ্রহ ভরা পরিবেশে যদি বাংলাদেশে এসথেটিক সার্জারি চালু করা হয়, নিঃসন্দেহে এটা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত সুখবর।
অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল। এটার বাস্তবায়ন হওয়ায় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিতে প্রচলিত বিশ্বের সর্বাধুনিক সেবা প্রদানের দরজা উন্মুক্ত হলো।
আরএম/একেএস/আরআই