• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ১১:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০১৯, ১১:০২ এএম

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

‘মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে না’

‘মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে না’
ঢাকার চানখাঁরপুলে নির্মিত ৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের মতন মেঝেতে রেখে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেবে না ঢাকার চানখাঁরপুলে নির্মিত ৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। একইসঙ্গে রোগীর স্বজনদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপ করা হবে কড়া বিধি নিষেধ।এমনটাই জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন।

তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, পোড়া রোগীদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার কথা ভেবে এসব ভাবা হয়েছে। কেননা, সংক্রমণের কারণে পোড়া রোগীদের মৃত্যুহার বেশি। একইসঙ্গে সময় মতন আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রেও বাধা।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে সারাবছরই রোগীর চাপ লেগে থাকে। মেঝেতে পা ফেলার জায়গা থাকে না। রোগীর সাথে থাকে রোগীর স্বজনদেরও চাপ। একেকজন রোগীর সাথে কমপক্ষে দুইজন স্বজন থাকেন। তাছাড়া পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দেখতে স্বজনরা দলবেঁধে আসেন। যখন-তখন যে কেউ যা খুশি তা নিয়ে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারেন। রোগীর চাপে এমন অবস্থা হয় যে, নতুন রোগীকে ট্রলিতে করে ওয়ার্ডের ভেতরে নেয়া যেমনি মুশকিল, ওয়ার্ডের ভেতর থেকে রোগী বের করারও মুশকিল। পোড়াক্ষত নিয়ে মেঝেতে শুয়ে থাকা রোগীর পাশ দিয়ে দিন রাত বিভিন্ন রোগীর স্বজন জুতো পায়ে চলাচল করেন। যা রোগীদের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে জানান চিকিৎসকরা।

ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের শৌচাগারের অবস্থাও মারাত্মক অপরিচ্ছন্ন। প্রতিটি ওয়ার্ডেই রয়েছে এসব শৌচাগার। যে জুতো পায়ে শৌচাগারে যান রোগী বা রোগীর স্বজন, সে জুতো পায়েই প্রবেশ করছেন ওয়ার্ডে। শৌচাগারের নোংরা পানিও গড়িয়ে চলে আসে ওয়ার্ডে। নানাজনের পদচারণার ফলে এই পানি ছড়াতে থাকে ওয়ার্ড জুড়ে। আইসিইউ, এইচডিইউ ছাড়া সব ওয়ার্ডের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে বাইরের বাতাস। সেই বাতাসও রোগীকে মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে দেয় রোগীকে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন- ছবি: জাগরণ

অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রোগীদের পাশে যে কেউ ইচ্ছে করলেই যেতে পারবেন না। খুব কড়াকড়ি নিয়ম করা হবে। রোগীর সাথে আইডি কার্ডধারী একজন স্বজন থাকবেন। আমাদের এটেনডেন্ট থাকবেন সহযোগিতার জন্য। যা খুশি তা নিয়ে যখন তখন কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

মেঝেতে রেখে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে যা করা হচ্ছে, তা না পেরে করা হচ্ছে। শয্যাই তো নেই। রোগীদের তো ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। কোথায় যাবে তারা। এজন্য মেঝেতে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় এনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ৫০০ শয্যার করা হয়েছে। আইসিসিউ, এইচডিইউ- সবকিছু শয্যা বেশি থাকবে ইনস্টিটিউটে।

ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমাদের উদ্দেশ রোগীকে মানসম্মত সেবা প্রদান করা। এতো বড় ইনস্টিটিউট, এতো টাকা-শ্রম-ঘাম দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শুধুমাত্র মানসম্মত সেবাদানের জন্যই।

আরএম/টিএফ
 

আরও পড়ুন