• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০১৯, ০৩:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৩, ২০১৯, ০৫:২১ পিএম

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না পাওয়ার আশঙ্কায় চিকিৎসকরা

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না পাওয়ার আশঙ্কায় চিকিৎসকরা
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট -ছবি : জাগরণ

ফলপ্রসূভাবে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিচালনা করতে যে ধরনের সাজসরঞ্জাম দরকার, সে ধরনের সাজসরঞ্জাম না পাবার আশঙ্কা আছে চিকিৎসকদের মাঝে। কেননা, দেশের জেনারেল বা বিশেষায়িত কোনো সরকারি হাসপাতালকেই প্রয়োজন অনুযায়ী সাজসরঞ্জাম দেয়নি সরকার। ফলে অতিস্বল্প সংখ্যক জনবল, যন্ত্রপাতি দিয়ে কঠিন চাপের মধ্যে সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এর প্রভাবে সরকারি চিকিৎসকার মান যেমনি হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নেতিবাচক মনোভাব।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অভ্যর্থনা ইউনিট-ছবি : জাগরণ

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ফলপ্রসূভাবে পরিচালনা করতে চার হাজার ২০০ জনবল নিয়োগের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় দিয়েছে মাত্র দুই হাজার জনের জন্য। ইনস্টিটিউটকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিচ্ছন্ন কর্মীই দরকার দেড় থেকে দুইশো। যেহেতু রোগীদের স্বজন প্রবেশে থাকবে কড়াকড়ি, সেহেতু রোগীর সেবায় নার্স, এটেনডেন্সও দরকার প্রচুর। সে অনুযায়ী না হলে ইনস্টিটিউটের কপালে ভয়াবহ দুর্গতি আছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, এতো বড় বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সত্যিই অনেক কঠিন। কিন্তু এই কঠিনকেই আমরা জয় করব। সে অনুযায়ী- কাজ করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র রোগীর চিকিৎসাই করবে না, একইসাথে দেশে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তৈরিতেও জোরালো ভূমিকা রাখবে। সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমান অবস্থায় দেশে কমপক্ষে ৪ হাজার প্লাস্টিক সার্জন লাগবে। সরকারের প্রতিশ্রুতি আছে- দেশের সব জেলা সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট চালু করার। এটা পূরণ করতে হলে অবশ্যই বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক দরকার। তাদের পড়াশোনার উন্নত জায়গা দরকার। এই ইনস্টিটিউট তেমনি একটি জায়গা। এখানে অত্যাধুনিক লাইব্রেরী করা হচ্ছে।

এদিকে, রোগীর তথ্য সংরক্ষণে এই ইনস্টিটিউটে করা হবে ইলেক্ট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড সিস্টেম। দেশের কিছু বেসরকারি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও সরকারি হাসপাতালে নেই।

কিন্তু এর মাধ্যমে কী সুবিধা? অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, প্রতিটি রোগীর জন্য পৃথক কার্ড বরাদ্দ করা হবে। যা মেশিনে প্রবেশ করানো মাত্রই প্রদর্শিত হবে, তার রোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একজন সহকারি অধ্যাপক জানান, এই ইলেক্ট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড সিস্টেম পরিচালনা করতে হলে বেশকিছু দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ লাগবে। যদি সরকার আমাদের এটা না দেয়, তাহলে কোনোভাবেই ইলেক্ট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড সিস্টেম পরিচালনা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে উচ্চ প্রত্যাশা করলে উচ্চভাবে সাপোর্ট দিতে হবে। না হলে এতো টাকা বিফলে যাবে। উপযুক্ত সেবা প্রদান তো করাই যাবে না, বরং বদনামের ভাগিদার হতে হবে চিকিৎসক তথা সরকারকে।

আরএম/টিএফ
 

আরও পড়ুন