• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৪:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৪:০৬ পিএম

শেবাচিমে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু

শেবাচিমে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু
রুশা আক্তার  -  ছবি : জাগরণ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে হাসপাতালে আইসিইউতে রুশা আক্তার (১০) নামের ওই শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে বরিশালে মৃত্যু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬ জন হয়েছে।

শনিবার মৃত্যু হওয়া রুশা ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা রুহুল আমিনের কন্যা ও স্থানীয় ওয়াইডব্লিউসি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ঈদের ছুটিতে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ঝালকাঠির রাজাপুরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে রুশা।

তথ্য নিশ্চিত করে রুশার মামা রাজাপুরের স্থানীয় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ঢাকায় থাকতেই রুশার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে সেখানে তার চিকিৎসা করা হলে অনেকটা সুস্থ হয়। সে অবস্থায় ওরা ঈদের ছুটিতে রাজাপুরে আসে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাজাপুরে আসার পরে শুক্রবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শিশু ওয়ার্ডে দাঁড়ানোর মতো জায়গা ছিল না। যে কারণে তাকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। এরপর পার্শ্ববর্তী রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে রুশার চিকিৎসা শুরু হলেও কোনো উন্নতি হয়নি। বরং শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। শুক্রবার রাতে তাকে পুনরায় শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই রাতেই হাসপাতালের পরিচালকের সহযোগিতায় রুশাকে শেবাচিমের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৭টায় রুশার মৃত্যু হয় বলে তার মামা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রুশার বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা না করে জার্নির কারণে সে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। একদম শেষ পর্যায়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রুশাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৪০ জন, যা বিগত দিনের রেকর্ড ভেঙেছে।

এদিকে গত ১৬ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট সকাল পর্যন্ত শেবাচিমে মোট ৭০২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬২ জন। এ ছাড়া ১০ আগস্ট পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত রোগীর সংখ্যা ৬।

এনআই

আরও পড়ুন