• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৭:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৭:০৫ পিএম

মেঘলা আবহাওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দুশ্চিন্তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের

মেঘলা আবহাওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, দুশ্চিন্তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের
গুলশানের একটি বাড়ির ছাদে জমে আছে বৃষ্টি পানি। সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে- ছবি : জাগরণ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া। কেননা এ ধরনের আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল পরিবেশ। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও চিকিৎসক এমএম আক্তারুজ্জামান দৈনিক জাগরণকে বলেন, এখন যে ধরনের আবহাওয়া, থেমে থেমে বৃষ্টি- এটা এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত। এ রকম বৃষ্টিপাতের ফলে এখানে-সেখানে পানি জমে যায়। এটাই আমাদের দুঃশ্চিন্তার কারণ। তবে আমাদের পরামর্শ কোনোভাবেই পানি জমতে দেয়া যাবে না।

মঙ্গল ও বুধবার দিনমান গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে আছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বাড়ির আনাচ-কানাচ, বাস টার্মিনাল, নির্মাণাধীন ভবনের চিপাচাপায় বৃষ্টির পানি জমে আছে।

রাজধানীর বাংলামটর মোড়ের কাছে ফুটপাতে গাড়ির লুকিং গ্লাস মেরামত করেন জয়নাল। তার দোকানের বিপরীতে একটি সিগারেটের দোকানের ভাঙা অংশে বৃষ্টির পানি জমে আছে। ‘পানি জমে আছে, পরিষ্কার করে ফেলেন? মশার বিস্তার হতে  পারে’- এ কথা বলতেই জয়নাল বলেন, আমার কি ঠেকা লাগছে আরেকজনের দোকানের জমা পানি সরাইতে?

শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের প্রধান ফটকের দুপাশে অস্থায়ী দোকানপাটের সাজ-সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানেও বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। বাদ নেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও, বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে কয়েক জায়গায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে গুলশানে বুধবার (১৪ আগস্ট) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক বাড়ির মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরাধ তার বাড়ির ছাদ নোংরা। পরিত্যক্ত জিনিসপত্রে বৃষ্টির পানি জমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক বেনজির আহমেদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, পানি জমতেই দেয়া যাবে না, তা ঘরের ভেতরে হোক কিংবা বাইরেই হোক। তা না হলে ডেঙ্গু থেকে নিস্তার পাওয়া ভারি মুশকিল হয়ে পড়বে।

ডেঙ্গুজ্বর ঢাকাসহ সারাদেশে যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা গত ২০ বছরেও হয়নি। ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা ৪০ বলা হলেও গণমাধ্যমের হিসাবে ১০০’র-ও বেশি।

১৩ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ দেশের ৬৩ জেলায় (রাজশাহী বাদে) ১ হাজার ৮৮০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ১২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে- ঢাকা বিভাগে ২৭৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৪ জন, খুলনা বিভাগে ১৬৫ জন, রংপুর বিভাগে ১১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩২ জন, বরিশাল বিভাগে ১৫৬ জন, সিলেট বিভাগে ২১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০ জন। 

আরএম/এসএমএম

আরও পড়ুন