• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৫:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৫:০৩ পিএম

ঢাকা মেডিকেলে মারমুখী নার্স-প্যাথলজিস্ট

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের নজরদারি

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের নজরদারি
ঢাকা মেডিকেলে নার্স-প্যাথলজিস্টদের সংঘর্ষ

নার্স-প্যাথলজিস্টদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দু’পক্ষই মারমুখি অবস্থানে রয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনিক নজরদারি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে।


রোববার (১৮ আগস্ট)  দুপুরে এ ঘটনার পর থেকে সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত অস্থিরতার কারণে চিকিৎসা সেবারও ব্যাঘাত ঘটছে। অবশ্য হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিলো। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রুটিন মাফিক চিকিৎসাসহ সকল কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনে নার্স ও প্যাথলজিস্টদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে তদন্ত পূর্বক আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে  প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এখন দু’পক্ষই শান্ত আছে। হাসপাতালের কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে নার্স ও প্যাথলজিস্টদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের নতুন ভবনে দ্বিতীয় তলায় প্যাথলজি বিভাগ থেকে রিপোর্ট নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নার্স ও প্যাথলজিস্টরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে হাসপাতালের চার জন ব্রাদার সিভিল পোশাকে প্যাথলজি বিভাগে যান। তারা একজন রোগীর রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। প্যাথলজি বিভাগ থেকে জানানো হয়, রিপোর্ট দিতে দেরি হবে। রোগীর চাপ আছে, অপেক্ষা করতে হবে।

ওই চার জন জানান, তারা হাসপাতালের ব্রাদার। সুতরাং তাড়াতাড়ি রিপোর্টটা দিলে সুবিধা হয়। এর এক পর্যায়ে প্যাথলজিস্ট ও ব্রাদারদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ খবর পেয়ে সেখানে প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. আবদুল আজিজ খান এলেও তিনি ব্রাদারদের তোপের মুখে পড়েন। এরপর ব্রাদাররা সেখান থেকে চলে আসেন।

ওই সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের ব্রাদাররা মিছিল নিয়ে প্যাথলজি বিভাগে যান। প্যাথলজিস্টরা সংঘবদ্ধ হয়ে ব্রাদারদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সেখানে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় একঘণ্টার সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন।

এইচ এম/বিএস

আরও পড়ুন