• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০২:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০১৯, ০২:১৬ পিএম

‘সময়মতো মশার ওষুধ না কেনার দায় সরকার এড়াতে পারে না’

‘সময়মতো মশার ওষুধ না কেনার দায় সরকার এড়াতে পারে না’

সরকার সরাসরি উদ্যোগ নিলে মাত্র ৩ দিন সময় লাগতো

...................................................................................

ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহী মশা নিধন সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবী আদালতকে বলেছে, সরকারিভাবে ওষুধ আনার বিষয়ে আমরা (ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন) আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এ বিষয়টিকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলা সরকারের উচিত হয় নি। এর কারণে আদালতের আদেশের পরও সাতদিন আমরা ওষুধ ছিটাতে পারি নি। এর মধ্যে আবার কোরবানির ঈদ চলে আসে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বও তখন বেড়ে যায়। তাদের অনেক কাজ করতে হয়। অথচ মশার ওষুধ আনতে সরকার সরাসরি উদ্যোগ নিলে মাত্র তিন দিন সময় লাগতো। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে  আদালত মশার ওষুধ আনার প্রক্রিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। আদালত বলে সময়মতো কার্যকরী মশার ওষুধ না কেনার দায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সরকারও এড়াতে পারে না। ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যর্থতায় কারা দায়ী তা নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা যায় কিনা, সে বিষয়ে আমরা বুধবার (২৮ আগস্ট) আদেশ দেবো।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।

আদালতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ।

শুনানিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘ভারতীয় কোম্পানি থেকে আনা নতুন দুই ধরনের মশার ওষুধ আনা এবং ১০ আগস্ট থেকে তা ছিটানো হচ্ছে।’’ 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে হাইকোর্টকে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। 

এর আগে ১৪ জুলাই (রোববার) আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

পরে ওই বিষয়ে দুই সিটির পক্ষ থেকে ২২ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু সে প্রতিবেদনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করলে ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) তারা সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন