• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৬:২৯ পিএম

বালিশের ঘটনাকে হার মানিছে পর্দা কেনার দুর্নীতি : ড. মোশাররফ 

বালিশের ঘটনাকে হার মানিছে পর্দা কেনার দুর্নীতি : ড. মোশাররফ 
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন - ফাইল ছবি

বালিশের ঘটনাকে হার মানিয়েছে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের পর্দা কেনার দুর্নীতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এটা একটা অস্বাভাবিক সরকার। সব কিছু অস্বাভাবিকভাবে চলছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বালিশ ক্রয় করা ও তুলতে কত টাকা লাগে সেটা আমরা দেখলাম। এখন ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের এক সেট পর্দা কিনতে নাকি ৩৭ লাখ টাকার ওপরে লেগেছে। কেন? কারণ, সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে লুট করছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে কোনো বিচার নেই, রিজার্ভ লুট হচ্ছে কোনো বিচার নেই। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ জিয়ার অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট।

সভায় বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বর্তমানে খেলাপিদের আরও সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এখন যারা বালিশ আর পর্দা কেনার দায়িত্বে বেশি বড় কর্মকর্তারা তারা মনে করছে- গত ১০ বছরে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে। তো আমরা কিছু করি না কেন? তাই তারা এই বালিশ আর পর্দা কেনার জন্য করছে। এটা জাতি ও দেশের জন্য অশনিসংকেত। দুর্নীতি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঠেকেছে। এই সমাজে আজ পচন লেগেছে। যদি সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হতো তাহলে তাদের দায়বদ্ধতা থাকত। যেহেতু এই দায়বদ্ধতা নেই, যে যা ইচ্ছে তা-ই করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ‘বিএনপি নাকি ভোটের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।’ আমি মনে করি ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ রাতে আওয়ামী লীগ সারা জীবনের জন্য ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় হয়ে গেছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার আর মুখ নেই। তারা নিজেরা বিদায় হয়ে গেছেন। 
 
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন