• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ১১:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ১১:১৫ এএম

পঙ্গু হাসপাতালে ঠাঁই পাচ্ছে রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র!

পঙ্গু হাসপাতালে ঠাঁই পাচ্ছে রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র!

ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ঠাঁই পাওয়ার অনুমতি মিলেছে জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের। এ হাসপাতালের পুরান ভবনে অবস্থিত পঙ্গু হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রটি স্থানান্তর হবে নির্মাণাধীন নতুন ভবনে। এরপরই জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র আসবে পুরান ভবনে। কিন্তু কবে নাগাদ সেখানে যাবে- এর কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ও বর্তমানে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আসাদুল ইসলাম দৈনিক জাগরণকে বলেন, শুধুমাত্র জায়গার অভাবে জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র কার্যত অচল হয়ে আছে। জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের যে পরিমাণ দায়িত্ব ও কাজ, তা করতে হলে পৃথক ভবনের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের জন্য সরকার ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু জায়গা না পাওয়ায় সেই অর্থ অলস পড়ে আছে। শেরেবাংলা নগরে জায়গা পেলেও সেটা গণপূর্ত অধিদপ্তরের হওয়ায় ভবন নির্মাণে জটিলতা আছে। এই জটিলতা দূর করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে।

সারাদেশের ব্ল্যাড ব্যাংক নিয়ন্ত্রণসহ দেশের সব হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন মনিটরিং, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশে জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৯ সালে। তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতো। একসময় মাত্র ছোট ছোট দুটি কক্ষে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এই কেন্দ্র। বহু ঠাসাঠাসি করে কেন্দ্রের কর্মীরা কাজ করতেন। অবস্থার উন্নতি নেই এখনও।

জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকার মহাখালীতে সাততলা বস্তির কিছু জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিল। সেই জায়গায় বহু আগে থেকে অবৈধ বসবাস। তা ছাড়া জায়গাটি নিয়ে জটিল আইনি প্যাঁচ রয়েছে। এজন্য সেই জায়গার আশা নিভে গেছে। এ স্থানে ১৬ তলা ভবনের নকশাও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। পরে নির্মাণের অপেক্ষায় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে (আইপিএইচ) বহুতল ভবনে জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা করা হয়। কিন্তু ভবন এখনও নির্মাণ না হওয়ায় সেই চিন্তা-ভাবনা নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে দেশে ২১৯টি সরকারি ও ১৪৫টি অনুমোদিত বেসরকারি নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র আছে। তবে দেশজুড়ে অবৈধ নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র হাজার খানেক বলে স্বাস্থ্য অধিদ্প্তরের কাছে তথ্য আছে। এসব দেখাশোনার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরই। নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকাসহ প্রয়োজনীয় লোকবল সংকটের কারণে জেনেশুনেও এসবের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপে যেতে পারে না প্রতিষ্ঠানটি।

অধ্যাপক আসাদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালক কেন্দ্র সঠিকভাবে চলতে পারলে তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে ওইসব কাজ কেন্দ্রের লোকজনই করবে।

আরএম/ এফসি

আরও পড়ুন