• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৫৪ পিএম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

৪ অ্যানেসথেসিস্টই ভরসা ৩০০ শয্যার বার্ন ইউনিটের

৪ অ্যানেসথেসিস্টই ভরসা ৩০০ শয্যার বার্ন ইউনিটের

মাত্র ৪ জন অ্যানেসথেসিস্ট নিয়ে পথ চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ৩০০ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। ফলে অস্ত্রোপচারে অপরিহার্য পোড়া রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ব্যবস্থাপনায় চলছে মারাত্মক প্রতিকূলতা।

২০১৪ সাল থেকে পোড়া রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। এসময় সরকারি সিদ্ধান্তে ইউনিটটিকে ১০০ শয্যা থেকে ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। যদিও চিকিৎসকসহ অন্য লোকবল বৃদ্ধি করা হয়নি। শয্যা ৩০০ হলেও প্রতিদিন ৫শর বেশি রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকেন। শীতকালে এ সংখ্যা ৭শ-৮শতে চলে যায়। গরমের মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১৫টির বেশি ও শীত মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫ জন অপারেশনের রোগী থাকেন। তা ছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় জরুরি বিভাগে এমন ধরনের রোগী আসেন, যাদের জন্য তাৎক্ষণিক অপারেশন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু অ্যানেসথেসিস্ট সংকটে এসব ব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন চিকিৎসকরা।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠার সময় ৫০ শয্যার জন্য ৩ জন অ্যানেসথেসিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়। রোগীর চাপ বাড়তে থাকলে ইউনিটটি প্রথমে ১০০ শয্যা এবং পরবর্তী সময়ে ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু অ্যানেসথেসিস্ট পদ রয়ে যায় সেই ৩টিতেই। একপর্যায়ে ইউনিটের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়লে বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে আরও ৪ জন অ্যানেসথেসিস্ট সংযুক্তিতে কাজ শুরু করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই চলছে বার্ন ইউনিট।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রয়েছে ৪টি অপারেশন থিয়েটার। অপারেশন করতে গেলে সার্জনের জন্য অবশ্যই অ্যানেসথেসিস্ট প্রয়োজন। এখানে কর্মরত ৭ জন অ্যানেসথেসিস্টের মধ্যে ৪ জন সংযুক্তিতে এবং ৩ জন স্থায়ী। স্থায়ীরা আবার মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কাজে বেশি সময় দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সংযুক্তিতে থাকা ৪ জনই ভরসা।

চিকিৎসকরা জানান, বার্ন ইউনিটে এমন অনেক রোগী আসেন, যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আইসিইউতে নিতে হয়। কিন্তু বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে কোনো অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের সেবাদান সম্পূর্ণ নার্সদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক বিচ্যুতি।

শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের উপদেষ্টা সামন্ত লাল সেন বলেন, শুধু এখানেই নয়, দেশের সব হাসপাতালেই অ্যানেসথেসিস্ট কম। যারা আছেন তাদের দিয়েই আমরা কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। অ্যানেসথেসিস্ট আরও প্রয়োজন, সেটা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। আশা করি- দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

আরএম/ এফসি

আরও পড়ুন