• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:২০ এএম

সাধারণ রোগীর কাজে আসে না বিএসএমএমইউর ৪টি অ্যাম্বুলেন্স

সাধারণ রোগীর কাজে আসে না বিএসএমএমইউর ৪টি অ্যাম্বুলেন্স

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স থাকা সত্বেও সাধারণ রোগী পরিবহনের কাজে লাগানো হচ্ছে না। অনেক রোগী জানেনই না এখানে ৪টি অ্যাম্বুলেন্সের অস্তিত্ব আছে।

সরেজমিনে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আনা নেয়া, ভিআইপি রোগী পরিবহন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মীর অসুস্থ স্বজন পরিবহন করার কাজেই আসছে ওই ৪টি অ্যাম্বুলেন্স। সাধারণ রোগীরা যে এসব অ্যাম্বুলেন্স খোঁজ করবেন তার জন্য কোনো কাউন্টার বা  অ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তির সুনির্দিষ্ট স্থান নেই।

একজন রোগীর অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বিএসএমএমইউতে খোঁজ করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

প্রায় ২০০০ শয্যার বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সব শয্যাই প্রতিদিনই ভর্তি থাকে। তাছাড়া কিছু বিভাগের জরুরি বিভাগে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই রোগী আসছেন। কেউ শয্যা না পেয়ে অন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স কোনো কাজেই আসছে না। তাই রোগীদের ভরসা উচ্চমূল্যে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (পরিবহন) স্বপন কুমার তপাদার এসব অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে তার অফিস কক্ষে পাওয়া যায়নি। অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি ছুটিতে আছেন।

কক্ষে থাকা তার একজন সহযোগী জানান, অ্যাম্বুলেন্স পেতে হলে আগে লিখিত আবেদন করতে হবে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (পরিবহন) বরাবর। এটা অনুমোদন হলে মিলবে অ্যাম্বুলেন্স। আবেদন অফিস টাইম (সরকারি ছুটির দিন বাদে) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা ৩০মিনিটের মধ্যে করতে হবে। বিএসএমএমইউর পরিবহন শাখার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কখনই সাধারণ রোগী পরিবহনের কাজ করা হয়নি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের বাইরে। 

কিন্তু এটা কেমন নিয়ম? জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, এই সমস্যা দূর করার জন্য আমরা নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। এগুলো যেন সাধারণ মানুষের কাজে আসে, সেভাবেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করতে পারব।

আরএম/একেএস
 

আরও পড়ুন