• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম

রেনিটিডিনে ক্যান্সারের উপাদান : বিভিন্ন দেশে সতর্কতা

রেনিটিডিনে ক্যান্সারের উপাদান : বিভিন্ন দেশে সতর্কতা

গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ‘রেনিটিডিন’ জাতীয় ট্যাবলেট জেনট্যাক এ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, জেনট্যাক ছাড়াও আরও চারটির বেশি কোম্পানির তৈরি ওই ওষুধে ক্যান্সারের উপাদান মিলেছে। ফলে বিশ্ববাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়ার ঘোষণা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধটি বাজার থেকে উঠিয়ে নিতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওষুধটির বিষয়ে গ্রাহকদেরকেও সতর্ক করা হচ্ছে। খবর যমুনাটিভির

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপোটেক্স, প্রো ডক লিমিটেড, স্যানিস হেলথ এবং সিভেম ফার্মাসিউটিক্যালস নিজেদের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন স্বাস্থ্য সেবাদাতা ও রোগীদের উদ্দেশে এক সতর্কবার্তায় বলেছে, উচ্চমাত্রার এনডিএমএর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর স্যান্ডোজ তাদের তৈরি দুই মাত্রার রেনিটিডিন ক্যাপসুলের (১৫০ ও ৩০০ মিলিগ্রাম) ১৪টি লট বাজার থেকে স্বেচ্ছায় তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এর বাইরে অন্য কোনও রেনিটিডিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে এখনও প্রত্যাহার হয় নি। দুই সপ্তাহ আগে সতর্ক করার পর, স্যান্ডোজ তাদের সব ধরণের রেনিডিটিন ওষুধ বাজারে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে এফডিএ।

সংস্থটি বলছে, স্যান্ডোজের ক্যাপসুল ছাড়া অন্য রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ সেবনে এখনই তারা বারণ করছেন না। তবে কেউ চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শে অন্য কোনও কোম্পানির রেনিটিডিন সেবন করতে পারেন।

গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন পূর্ব সতর্কতা হিসেবে রেনিটিডিন ভারতের বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করে দেয়, রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণু পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়, ‘‘পাকস্থলির প্রদাহ এসব ওষুধে কমে গেলেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’

ওই সময় বলা হয়, ‘সনোফির এসএ জেনট্যাক ট্যাবলেটে এ ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। রেনিটিডিন গ্রুপের রেনট্যাক, রেনট্যাক-ওডি, আর-লক, রেনিটিনও গ্যাসের ট্যাবলেট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এতকিছুর পরেও ওই ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এরপরই রেনিটিডিন প্রত্যাহারের ঘোষণা এল।

এসএমএম