• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৫:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৭:৩৩ পিএম

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

শেয়ার বিক্রি করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে সানোফি

শেয়ার বিক্রি করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে সানোফি

শ্রমিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান সানোফি বাংলাদেশ শেয়ার বিক্রি করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সানোফি বাংলাদেশ কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এসময় সানোফির কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, কোম্পানির এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর দেয়া ক্ষতিপূরণ ফাইল নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয়নি। আমাদের প্রাপ্য অর্থ (প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি) অন্য কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া ও ক্ষতিপূরণ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানোফি। এ অবস্থায় আমরা কর্মবিরতি শুরু করতে বাধ্য হই। আমাদের কর্মবিরতি মানে আমাদের প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক ডাক্তার ভিজিট ও ফার্মেসি ভিজিট বন্ধ রেখেছি। তবে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সরবরাহে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করিনি। বরং ২২টি বিক্রয় কেন্দ্রে রোগীর প্রয়োজনে আমরা ওষুধ সরবরাহে সহযোগিতা করেছি। শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি হলেও কোম্পানির পক্ষে বড় কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি ও ভয়-ভীতি দিতে থাকেন। তবুও আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। একইঙ্গে দাবি আদায়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোম্পানির কান্ট্রি চেয়ার বা ব্যবস্থাপনা সম্পাদককে (এমডি) আমাদের সঙ্গে বসার সময় বেঁধে দিয়েছি। এসময়ের মধ্যে কোনো আলোচনা না হলে বা এর যৌক্তিক কোনো সিদ্ধান্ত না এলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আগামী ২৪ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সানোফির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মানববন্ধন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ফরাসি কোম্পানি সানোফি ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছে। গত ১৬ অক্টোবর বিবৃতির মাধ্যমে সানোফি জানায়, বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানোর মতো অবস্থানে সানোফি নেই। এ অবস্থার পরিবর্তনে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডে থাকা শেয়ার হস্তান্তরের জন্য অংশীদার খোঁজা হচ্ছে। মালিকানা ছেড়ে দিলেও ওষুধ বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি অব্যাহত থাকবে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সানোফি এমন একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের সন্ধানে রয়েছে, যারা নৈতিক এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সানোফির পণ্য-প্রচারে প্রতিষ্ঠানটির সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা দীর্ঘ সময়ের জন্যে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি রোগী এবং একইসঙ্গে সানোফি বাংলাদেশের কর্মীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের হাতে। বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে পরিচালিত হত এ কোম্পানি।

কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে সানোফি জানায়, যদি সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডে থাকা নিজেদের শেয়ার মালিকানা হস্তান্তর করে সানোফি, সেক্ষেত্রেও কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সামষ্টিকভাবে চাকরি স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা করবে তারা। মালিকানা হস্তান্তরের সময় থেকে পরবর্তী ১২ মাস তাদের চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়ার চেষ্টা করবে।

আরএম/ এফসি

আরও পড়ুন