বহুল আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা একেএম মুসা মানিক, মা শিরিন আখতার, মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান। এছাড়া নুসরাতের স্বজন, সহপাঠী ও সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষকরাও এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় কার্যকরের দাবি জানান।
এদিকে আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর ফেনীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে তার স্বজন-সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ট্রাংক রোড় চত্ত্বরে মিষ্টি বিতরণ শেষে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। রায়ের মতো তা কার্যকরেরও দাবি জানান তারা।
প্রতিক্রিয়া জানতে আদালতে উপস্থিত নুসরাতের বাবা একেএম মুসা মানিক কেঁদে ওঠেন। অল্প সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করে রায় ঘোষণা করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার কার্যক্রম শেষ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ সর্বস্তরে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান মামলার ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্প সময়ের মধ্যে নুসরাত হত্যা মামলার নিষ্পত্তির কথা দিয়েছিলেন, সে কথা তিনি রেখেছেন। রায়টি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করছি।
নুসরাতের মাদরাসার বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন মুঠোফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে যাতে অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকরের দাবি জানান। নুসরাত হত্যা মামলার রায়কে ঐতিহাসিক রায় বলেও আখ্যায়িত করেন।
নুসরাতের নিকটাত্মীয় আবদুল বাতেন, ওমর ফারুক, তার সহপাঠী নিশাত সুলতানা, নাসরিত সুলতানা ফূর্তি, কায়সার মাহমুদ, আলা উদ্দিন, জামসেদ আলমসহ অনেকে রায় শুনতে আদালত চত্বরে ছুটে আসেন। রায়ের সংবাদ শুনে তারাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এনআই