• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৭:০২ পিএম

কিডনি দান : মত-দ্বিমত

কিডনি দান : মত-দ্বিমত

● আইনের জটিলতায় কিডনি বিকলরোগী স্বাভাবিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত

● নিকটাত্মীয় সব সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই

● টাকা বা সম্পত্তি দান করার মতই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করা মানুষের মৌলিক অধিকার

● কিডনি প্রতিস্থাপনে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে

● কিডনি প্রতিস্থাপন করে ১৫ থেকে ২০ বছর সুস্থ জীপন-যাপন করা সম্ভব

নিকটাত্মীয় যে কেউ কিডনি দান করতে পারবে- এই বিষয়ে রায়ের জন্য ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য রয়েছে হাইকোর্টে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত এক রিট শুনানিতে পক্ষে-বিপক্ষে মত-দ্বিমত শুনে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করে উচ্চ আদালত।

শুনানিতে অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আদালতে তার মতামত তুলে ধরেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক জাগরণকে তিনি বলেন, ‘যে কেউ যেন যে কাউকে কিডনি দান করতে পারে আমি তার পক্ষে মত দিয়েছি আদালতে। আইনে এ বিষয়ে কোনও সংকীর্ণতা থাক তা আমি চাই না।’

তার এই মতের বিপক্ষে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেছেন। তারা বলছেন, নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কেউ কিডনি বা বৃক্কদান করার সুযোগ থাকলে অস্বচ্ছলরা ধনীর কাছে পণ্য হয়ে যাবে। ধনীরা অস্বচ্ছলের কিডনি টাকা দিয়ে কিনে নেবে। আর্থিক অনটনের কারণে অস্বচ্ছলরা তার কিডনি বিক্রি করে দেবে আগ-পিছ না ভেবেই।

এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, কিডনি না পাওয়া গেলে ভুক্তভোগীরা ডায়ালাইসিস করাবেন। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারলে তো আর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হবে না। যারা বিষয়টি শুধু আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান, তারা তো ডায়ালাইসিসের ব্যবসা করেন। তারা মূলত তাদের ডায়ালাইসিসের ব্যবসা অব্যাহত রাখতে এই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কটটি জিইয়ে রাখতে চান।

তিনি বলেন, তবুও অস্বচ্ছল ব্যক্তি যদি ধনীর কাছে কিডনি বিক্রি করার আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে তা নজরদারির জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা থাকতে পারে, কিন্তু কিডনি দান করার সুযোগ বন্ধ করা তো উচিৎ নয়। কেউ কাউকে কিডনি দান করতে চাইলে এটি কিডনিদাতার জন্য একটি অধিকারও। আইনি সীমাবদ্ধতা দিয়ে কাউকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক না। 

নজরদারির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইরানে যে কেউ যে কাউকে কিডনি দান তো করতেই পারেন, উপরন্তু তাকে আর্থিক পুরস্কার দেয় রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র তাকে সম্মানও দেয়। কিডনিদাতাকে পুরস্কার ও সম্মান দেয়ার বিষয়টি দেখভালের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা আছে সেই দেশে। আমি মনে করি এটি খুব আমাদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে।

জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিডনি প্রতিস্থাপনের অবাধ সুযোগ আছে। কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইরান, সৌদি আরবসহ অনেক দেশে যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি অপরিচিতি রোগীর জন্য কিডনি দান করতে পারেন। ভারতে অনাত্মীয় ব্যক্তি অঙ্গ দান করতে চাইলে প্রত্যেক রাজ্যে নিবন্ধিত কমিটিকে জানাতে হয়। শ্রীলঙ্কাতেও একই অবস্থা বিদ্যমান।

রিট শুনানিতে জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী আদালতকে বলেছিলেন, ‘এটি একটি সংকীর্ণ আইন। নিকটাত্মীয় ছাড়া আর কারও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ বর্তমান আইনে নেই। নিকটাত্মীয় যে সব সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই আইনটি সংশোধন করতে হবে যেন, একজন সুস্থ-সবল মানুষ চাইলেই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে পারেন, এটিই হবে প্রতিকার। টাকা বা সম্পত্তি দান করার মতই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে চাওয়াটা মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই শুধু নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের প্রক্রিয়াটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। তবে এর কারণে সমাজের অস্বচ্ছল মানুষরা যেনো কোনও ক্ষতির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে আইনে বিশেষ বিধান রাখার সুযোগ রয়েছে বলেও আদালতকে বলেন তিনি।

আদালতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের বিষয়টি সবার জন্য উন্মুক্ত না করার পক্ষে অভিমত দেন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)- এর আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন। তিনি আদালতকে বলেন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের সুযোগ আইনের মাধ্যমে প্রসারিত হলে দেশে এর অপব্যবহার বেড়ে যাবে। সমাজের অস্বচ্ছল মানুষরা অভাবের তাড়নায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচায় মেতে উঠবেন। এ সময় তিনি আসক এর পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনাবেচা নিয়ে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।   

একই বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ, অধ্যাপক আছিয়া খানমসহ বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা আদালতে তাদের অভিজ্ঞ মতামত তুলে ধরেন।

রিটকারীর আইনজীবী রাশনা ইমাম বলেন, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের বিষয়টি মানবিক ও দাতব্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ চেয়ে আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছি। আদালতের পূর্বের রায় অনুসারে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (শরীরে অপরিহার্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ) দানে ধর্মীয় বিষয়টি বাধা হবে না বলে রায় আছে। সুতরাং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের ক্ষেত্রে ধর্ম কোনও বাধা হবে না। এদিকে আইনটির পরিসর বৃদ্ধি করলে এর অপব্যবহার হতে পারে বলে দাবি তোলা হয়েছে। সেজন্য আমরা সংশোধিত আইনে একটি ‘সেফ গার্ড’ রাখার আবেদনও জানিয়েছি।

২০ নভেম্বর (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল জানায়- কিডনিদাতার সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে কিডনি বিকল রোগীদের জন্য কিডনিদাতার সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠেছে। টাকা দিয়েও কিডনি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। দেশে প্রায় ১০ হাজার কিডনি বিকল রোগী প্রতি বছর কিডনি প্রতিস্থাপন করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ১০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বছরে প্রায় ২৫০টি কিডনি সংযোজন হয়ে থাকে। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ন্যূনতম ৮০০ কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে বা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। তাই ২০১৮ সালের সংশোধিত বাংলাদেশের ‘মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন’ আইনের কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার। ডায়ালাইসিস চালিয়ে যাওয়ার তুলনায় কিডনি প্রতিস্থাপন-ব্যয় অনেক কম। তাই রক্তের সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ না রেখে যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ও সবল ব্যক্তিকে কিডনিদানের অনুমতি দেয়া দরকার। এক্ষেত্রে কিডনিদাতা ও গ্রহীতা নির্ণয়ের জন্য এবং অবৈধ কিডনি বাণিজ্য প্রতিরোধ করতে সরকারি উদ্যোগে ‘প্রত্যয়ন প্রদানকারী বোর্ড’ গঠন করে দিতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার, অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক ডা. এস এ হাসিফ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যেসব অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও জটিল, সেই সব রোগের মধ্যে বিকল কিডনিরোগ অন্যতম। পুষ্টি, অপ্রয়োজনীয় বা ভুল চিকিৎসা এবং পরিবেশগত কারণে দরিদ্র জনগণ অধিক হারে বিকল কিডনিরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিকল কিডনির উত্তম চিকিৎসা হচ্ছে কিডনি সংযোজন। ডায়ালাইসিসে উপকার পাওয়া গেলেও খুবই ব্যয়বহুল। ডায়ালাইসিসের তুলনায় বিকল কিডনিরোগীর শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন ব্যয় অনেক কম। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে একটি কিডনি সংগ্রহ করে সরাসরি একজন বিকল কিডনি রোগীকে কিডনি প্রতিস্থাপন করে ১৫ থেকে ২০ বছর সুস্থ জীপন-যাপন করতে পারেন।

কিডনি প্রতিস্থাপন ও ডালাইসিস দেয়ার তুলনামুলক সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। দেশে বছরে প্রায় ২৫০টি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়ে থাকে। দেশে কিডনি সার্জনের সঙ্কট রয়েছে। তবে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সার্জন সৃষ্টি করা সম্ভব। কিন্তু আইনি জটিলতাসহ নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণে কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রমে অংশ নিতে চান না সার্জনরা।

এভাবে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের জটিলতার কারণে শত শত কিডনি বিকলরোগী স্বাভাবিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিডনিদাতার যোগান থাকলে মাত্র ২ লাখ টাকা দিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করানো সম্ভব। আর একই কাজ ভারতে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ৪০ লাখ টাকা, সিঙ্গাপুরে এক থেকে দেড় কোটি টাকা এবং আমেরিকার মত উন্নত দেশে তা দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হবে। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে কিডনি প্রতিস্থাপন সেন্টার গড়ে তোলা সম্ভব। ডায়ালাইসিস শুরু করলে তা চালিয়ে যেতে হয় আজীবন।

একজন কিডনিরোগীকে প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিসের পেছনে ব্যয় করতে হয় গড়ে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। ডায়ালাইসিসের এই উচ্চ ব্যয় অস্বচ্ছল রোগী তো দূরের কথা, অনেক ধনাঢ্য পরিবারের রোগীর পক্ষেও আজীবন বহন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। ডালাইসিস করানোর তিন বছরের খরচ দিয়ে অনায়াসেই কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়ে নেয়া যায়। তবে কিডনিদাতার পথ সুগম করে দিতে হবে।

১৯৯৯ সালের মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের তিনটি ধারা প্রশ্নে দেয়া রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। রিটের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের ওই দিন ধার্য করে।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, একবার কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দ্বিতীয় দফায় সন্তানের কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে আইনি জটিলতা সূত্রে ঢাকার বাসিন্দা ফাতেমা জোহরা ২০১৭ সালে আইনের তিনটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৪ আগস্ট আদালত রুল দেয়। ১৯৯৯ সালের আইন সংশোধনের পর রিট আবেদনকারীর করা সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক রুল হয়।

আইনজীবীরা জানান, এরপর গত ২৮ আগস্ট আদালত কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত জানতে চায়। এ অনুসারে সাত সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন ৭ নভেম্বর আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে সেদিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী মতামত তুলে ধরেন।

আইনজীবী রাশনা ইমাম গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৯৯ সালের আইন ও ২০১৮ সালের সংশোধনীতে আইন অনুসারে নিকটাত্মীয় হিসেবে ২৩ জন কিডনি দান করতে পারেন। তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে তাদের পাওয়া না গেলে কী হবে, যেমনটি হয়েছে ফাতেমা জোহরার সন্তানের ক্ষেত্রে। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে নিকটাত্মীয় না পাওয়া গেলে তখন মানবিক কারণে যাতে কেউ কিডনি পাওয়া  থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্যই রিটটি করা হয়। আইনের ওই সংকীর্ণতা সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। সংশোধনীতে আইন অনুসারে একটি প্রত্যয়ন বোর্ড থাকবে। কিডনি– বাণিজ্য হচ্ছে কি না, বোর্ড তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৯৯ সালের আইনটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সংশোধন করা হয়, যেখানে কিডনিদাতার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিধিমালাও প্রণয়ন করা হয়, যার অধীনে একটি কমিটি আছে। এই কমিটির মাধ্যমে কিডনিদাতা ও গ্রহীতারা কীভাবে কিডনি হস্তান্তর করবে, সে প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যাবে।

এমএ/এসএমএম 

আরও পড়ুন