• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম

নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ৮০০ শয্যার হচ্ছে শিগগিরই 

নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ৮০০ শয্যার হচ্ছে শিগগিরই 

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে আরও ৫০০ শয্যার নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষে কাজ চলছে। এটা শেষ হলে এই ইনস্টিটিউটের শয্যা সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০০-তে। নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল সংলগ্ন দক্ষিণ প্লট নং এফ-২-এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৫০০ শয্যার জন্য পৃথক ভবনটি হবে ১৫ তলা। এর ৩য় তলা পর্যন্ত থাকবে বেসমেন্ট।

হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম দৈনিক জাগরণকে বলেন, দিনদিন রোগী বাড়ছে, সেই তুলনায় আমাদের শয্যা সংখ্যা কম। এদিক বিবেচনায় রেখে আরও ৫০০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। আশা করছি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব। সেই অনুযায়ীই কাজ চলছে।

অধ্যাপক বদরুল আলম

২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৩০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের। এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে এ হাসপাতাল দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় আক্রান্তসহ স্নায়ুজনিত যেকোনো সমস্যার জন্য এ হাসপাতাল দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক আশা-ভরসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বিশেষ করে- নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে। পুরোপুরি সরকারি হওয়ায় এখানে চিকিৎসা ব্যয় কম।

উদ্বোধনের পর হাসপাতালে শুধু ৫০০ শয্যা বৃদ্ধিই নয়, একইসঙ্গে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন বিভাগ সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে ‘এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল’ প্রকল্পও হাতে নেয় সরকার। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পুরো অর্থই সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হবে।

অধ্যাপক বদরুল আলম বলেন, প্রতিদিন ভর্তি উপযোগী রোগী আসেন ২৫-৩০ জন। অথচ শয্যা খালি হয় সর্বোচ্চ ১০টি। প্রতিদিন অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন ১৫-২০টি। অথচ করা যাচ্ছে ৭-৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- ২০১৩ সালে এ ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে স্নায়ু রোগীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৭৪৪ জন এবং নিউরোসার্জারি রোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৪৯৫ জন। ২০১৬ সালে বহির্বিভাগে নিউরোলজি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩১০ জনে এবং নিউরো সার্জারি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৫৮১ জনে।

অন্তর্বিভাগে ২০১৩ সালে নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারির রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৪৮৬ জন ও ১ হাজার ৪৩৫ জন। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮ হাজার ৫৫০ জন ও ২ হাজার ১ জন।

আরএম/ এফসি

আরও পড়ুন