• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০১৯, ০৯:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২১, ২০১৯, ০৯:৪৪ পিএম

তীব্র শীতে রোগে ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা 

তীব্র শীতে রোগে ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা 

শীতে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি নানা সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় সময়মতো ব্যবস্থা নিলেই এর প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। সাবধানতা অবলম্বন করা না হলে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে

...............

রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। ব্রংকাইটিস জ্বর, সর্দি, অ্যাজমা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, সাধারণ শ্বাসকষ্ট, রোটা ভাইরাসসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগে থেকেই যারা অ্যাজমা-হাঁপানিতে আক্রান্ত তারাও পড়েছেন নানা রকম জটিলতায়।

এ তথ্য জানিয়েছেন নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তীব্র শীতে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি নানা সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় সময়মতো ব্যবস্থা নিলেই এর প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। সাবধানতা অবলম্বন করা না হলে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ সফি আহমেদ মুয়াজ দৈনিক জাগরণকে বলেন, শীতে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত ছাড়াও নাক, কান ও গলার সমস্যাজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে।

অধ্যাপক সফি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে শিশুদের। গরম কাপড়, কুসুম গরম পানি ও সবসময় গরম খাবার পরিবেশন করতে হবে। পানি দিয়ে ভালোমতো ধোয়ে পরিষ্কার হাতে খাবার খেতে দিতে হবে। তা নাহলে জীবাণুর আক্রমণে মারাত্মক ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় জীবাণুগুলো মুক্ত বাতাসে উড়ে বেড়ায়, যা সহজেই শিশুদের আক্রমণ করে।

শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোগী আসলেও তীব্র শীতে তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জনে। বেশিরভাগই ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। তার মধ্যে আবার অধিক জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু সংখ্যাই বেশি।

শ্যামলীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, অ্যাজমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। সাধারণ শ্বাসকষ্ট নিয়েও অনেকে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসছেন।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে কথা হয় ৪ বছর বয়সী সিফাতের মা ঝর্না বেগমের সঙ্গে। তিনি থাকেন কাজীপাড়ায়। ঝর্না বেগম জানালেন, সকাল থেকে সিফাতের শ্বাসকষ্ট। আগে এ ধরনের কোনও সমস্যা ছিল না ওর। শ্বাসকষ্টটা বাড়াবাড়ি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে বাধ্য হয়েছি। 

৭ বছর বয়সী রাফির মা আনোয়ারা বেগম জানান, অ্যাজমার সমস্যা আছে রাফির। শীত বাড়ার সাথে সাথে সমস্যাটা বেশি করে দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে না এনে উপায় দেখছিলাম না।

মহাখালীর বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেবুলাইজার দেয়া হচ্ছিল আবদুল হাকিমকে (৭৫)। তার ছেলে আবদুল জব্বার বলেন, শীত পড়লেই বাবার শ্বাসকষ্ট বাড়ে। বাসায় নেবুলাইজার আছে। কিন্তু সমস্যা এতোটাই বেড়ে গেছে, হাসপাতালে আনতেই হলো।

আরএম/এফসি/এসএমএম

আরও পড়ুন