• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০, ১২:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০, ১২:১০ পিএম

মতামত

চীনাভীতি ছড়ালে বিশ্ব অর্থনীতিরই ক্ষতি

চীনাভীতি ছড়ালে বিশ্ব অর্থনীতিরই ক্ষতি

চীনের মানুষরা কী খায়, কী পরে, আর এর সাথে করোনাভাইরাসের সম্পর্কইবা কী এমন সব আলোচনা এখন চারিদিকে। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ করছেন চীনের নাগরিকরা।

কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে একসাথে ৫ কোটি মানুষকে আলাদা করে ফেলার নজির আর নেই মানবজাতির ইতিহাসে— যেটা চীন করেছে। এটা চীনকে করতে হয়েছে করোনাভাইরাস থেকে দেশের তো বটেই বিশ্বের মানুষকে বাঁচাতে। তবে এতেও আতঙ্ক ঠেকিয়ে রাখা যায়নি।

টোকিও থেকে সিডনি, ম্যানহ্যাটন থেকে বার্লিন সবখানে করোনাআতঙ্ক। যদিও এর মৃত্যুর হার এখনও ২ শতাংশের কিছু বেশি।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে বৈশ্বিক ঝুঁকি ঘোষণা করেছে মূলত এর সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখন দরকার বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগ।

করোনা ঘিরে চীন বিরোধী প্রপাগান্ডা যেন পালে বাতাস পেয়েছে। আকাশপথে চীনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন-ব্রিটিশসহ বেশ কয়েকটি দেশের এয়ারলাইনস।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, পৃথিবীর চাকা চলমান রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান চীনাদের। তাই চীনকে একঘরে করে চীনাভীতি ছড়ালে বিশ্ব অর্থনীতিই হুমকির মুখে পড়বে।

জনমনে এমনও কানাঘুঁষা চলছে, এই ভাইরাস চীনেরই কোনও পরীক্ষা-নীরিক্ষার ফসল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে করোনাকে পরাজিত করা গেলে— ভবিষ্যতে যে কোনও চিকিৎসা দুর্যোগ ঠেকানোর পথ আরও প্রশস্ত হবে।

এসএমএম