• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০, ০১:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০, ০১:২০ পিএম

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে চলছে বিশ্বব্যাপী তোড়জোড়

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে চলছে বিশ্বব্যাপী তোড়জোড়

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে তোড়জোড় চলছে বিশ্বের নামিদামি সব ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। কয়েক মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কয়েক মাস বা কয়েক বছরের কথা বললেও যুক্তরাজ্যের এক বিজ্ঞানীর দাবি, প্রতিষেধক আবিষ্কারে সেই সময় সীমা কমিয়ে এনেছে তার দল। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রাণিদেহে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক, পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।

চীনের উহান থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে দিন-রাত গবেষণা করে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। পিছিয়ে নেই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও। ভ্যাকসিন বা এন্টিভাইরালস এবং করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় অন্যান্য ওষুধ আবিষ্কারে অন্তত কয়েক ডজন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নেমেছে প্রতিযোগিতার বাজারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে পুরো প্রক্রিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। বিপুল পরিমাণ অর্থের পাশাপাশি প্রতিষেধক আবিষ্কারে সময় লাগতে পারে এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডভিত্তিক ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্স বলছে, প্রতিষেধক আবিষ্কার থেকে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পর্যন্ত সাধারণত তাদের ৯০ দিন সময় লাগে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও তারা সফল হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

গবেষক ড. গ্রেগোরি গ্লেন বলেন, ভ্যাক্সিন যেভাবে কাজ করে তা হলো, নিষ্ক্রিয় একটি ভাইরাস মানবদেহে পুশ করার পর তা শরীরে রোগপ্রতিরোধ বলয় তৈরি করে। আধুনিক যুগে আমাদের অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে। করোনাভাইরাস মানেই হলো এটির মুকুটের মত স্পাইক আছে। স্পাইক প্রোটিন ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমরা স্পাইক প্রোটিনের জন্য একটি জিন নিতে পারি। এটি থেকে প্রোটিন তৈরি করব। এটি খুব বিশুদ্ধভাবে করতে পারব। আমরা স্পাইক প্রোটিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা নিতে পারি যা প্রতিরক্ষামূলক হবে। তাই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী।

চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের কার্যকরি ওষুধ পাওয়ার দাবি করেছেন। 

ভ্যাক্সিন আবিষ্কারে যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানী রবিন শ্যাটক। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এই গবেষকের দাবি, ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পর এটি এখন পশুর দেহে পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। যা আগামী সপ্তাহে প্রয়োগ করা হবে।

শুধু প্রতিষেধকই নয় এরই মধ্যে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্যও প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ওষুধ ও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক প্রতিরোধ ও সচেতনতার ওপরই গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

মরণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) নতুন করে আরও ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০৪ জনে। যার মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ড ও বাইরে মৃত্যু হয়েছে ৯০২ জনের। হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন।

এসএমএম