• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৫:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০, ০৫:১৩ পিএম

কভিডে মৃত্যুর হার ২ শতাংশ

কভিডে মৃত্যুর হার ২ শতাংশ
থেমে নেই জীবনযুদ্ধ ● ইন্টারনেট

চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিসিডিসি) কর্তৃক এক গবেষণা প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কভিড নাইনটিন (করোনাভাইরাস) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনের হুবেই প্রদেশে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পৃথিবীর অন্য অংশে ০ দশমিক ৪ শতাংশ।

কভিড আক্রান্তদের ৭০ হাজারেরও বেশি কেস হিস্ট্রির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে এসব জানিয়েছে সিসিডিসি।

এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এটিই এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিবেদন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ‘চাইনিজ জার্নাল অব এপিডেমিওলজি’তে প্রকাশিত সিসিডিসির প্রতিবেদনটিতে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত ৭২ হাজার ৩১৪ জনের কেস হিস্ট্রি নিয়ে গবেষণা করা হয়। এর মধ্যে নিশ্চিত ৪৪ হাজার ৬৭২টি কেস হিস্ট্রি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কেস হিস্ট্রির মধ্যে ৮০ দশমিক ৯ শতাংশই ছিল মৃদু, ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ গুরুতর এবং ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মারাত্মক গুরুতর।

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

৯ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও শিশুর এবং তারপর থেকে ৩৯ বছর বয়সী কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। যাদের বয়স ৪০ এর কোঠায়, তাদের মৃত্যুর হার ০ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫০ এর কোঠায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ, ৬০ এর কোঠায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৭০ এর কোঠায় ৮ শতাংশ।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুরুষদের মৃত্যুর হার নারীদের চেয়ে বেশি, যা যথাক্রমে ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৭ শতাংশ। যাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তারাও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।

কভিডে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ পর্যন্ত চীনে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।

প্রতিবেদনটিতে সতর্ক করে বলা হয়, অবরুদ্ধ অবস্থার অবসান হলে এবং ছুটি কাটিয়ে আরও মানুষ শহরে এলে নতুন করে যেন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা না দেয়, তার প্রস্তুতি নিতে হবে।

এসএমএম