• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২০, ০৪:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৯, ২০২০, ০৪:৪৮ পিএম

শুধু কোভিডের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত কুর্মিটোলা হাসপাতাল

শুধু কোভিডের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত কুর্মিটোলা হাসপাতাল

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পুরোটাই ব্যবহার করা হবে। এতোদিন সেখানে সমন্বিত চিকিৎসা কার্যক্রম চললেও রোববার (২৯ মার্চ) থেকে সাধারণ রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।

এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গাইনি, ইএনটি, সার্জারিসহ বিভিন্ন বিভাগের অপারেশন কার্যক্রমসহ জরুরি ও বহির্বিভাগও। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন কিডনি বিকল হওয়া ৬৬ জন রোগী যারা নিয়মিত হেমোডায়ালাইসিস নিতেন এই হাসপাতালে।  

জানা গেছে, এতোদিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শুধু কোভিড-১৯ সন্দেহজনক রোগীদেরই ভর্তি করে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। যারা কোভিড ১৯ পজেটিভ রোগী বলে শনাক্ত হতো তাদের সরকারি কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হতো। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তে এখন থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালেও কোভিড ১৯ পজেটিভ রোগী রাখা হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

কুর্মিটোলা হাসপাতালে হেমোডায়ালাইসিস করাচ্ছেন এমন একাধিক রোগীর স্বজনরা জানালেন, অন্যান্য হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের খরচ অনেক বেশি এবং শিডিউল পাওয়া কঠিন। এখানে ৬ মাসের জন্য খরচ পড়তো ২০ হাজার টাকা। শুধু ডায়ালাইজার নিজেরা কিনে নিতাম। এখন অন্য কোথায় যাবো, কীভাবে শিডিউল পাবো, চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। 

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জামিল আহমেদ বলেন, কিডনি বিকল এসব রোগীদের হেমোডায়ালাইসিস দুই-তিন দিনও বন্ধ রাখা যাবে না। তবে করোনার ক্ষেত্রে এসব রোগীরা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় এখানে কোভিড ১৯ পজেটিভ রোগী রাখা হলে হেমোডায়ালাইসিস ইউনিট চালু রাখা ঠিক হবে না। তাই তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বা সুব্যবস্থা করেই ওই ইউনিটটি বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা আতঙ্কিত নই; তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। এই বিষয়টির কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্যই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পুরোটাই রেডি করা হচ্ছে কোভিড- ১৯ রোগীদের জন্য। 

তিনি বলেন, হেমোডায়ালাইসিসের রোগীরা ওখানকার ভর্তি রোগী নয়; শিডিউল অনুযায়ী তারা ডায়ালাইসিস নেন। এখন ইচ্ছে করলে তারা নিজেদের পছন্দমতো সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও হাসপাতালে হেমোডায়ালাইসিস নিতে পারে। তবে তারা আমাদের সহযোগিতা চাইলে নিকডু, ঢাকা মেডিকেল, মুগদা, সলিমুল্লাহসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসব রোগীদের হেমোডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করা হবে। তথ্য-কালের কণ্ঠ।

এসএমএম