• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২০, ০৭:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৯, ২০২০, ০৮:২২ পিএম

কোভিড-১৯

দেশে ভয়াবহতা বাড়বে ১৫ এপ্রিল থেকে

দেশে ভয়াবহতা বাড়বে ১৫ এপ্রিল থেকে
লকডাউন দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় ● সংগৃহীত

দেশে কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা বাড়বে ১৫ এপ্রিল থেকে। কার্যকর পদক্ষেপ এবং মানুষ নিয়ম-নীতি না মানলে, আক্রান্ত হতে পারেন ৫-২০ লাখ লোক। এমন শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

স্বাস্থ্য সচিব জানান, সংক্রমণের তৃতীয় ধাপে রয়েছে দেশ। যা এ মাসেই চতুর্থ ধাপে চলে যেতে পারে। বৈশ্বিক এ মহামারি মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে, সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহের মতে, এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সতর্কতা। 

চীনের উহান থেকে ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসের কাছে আজ বড্ড অসহায় গোটা বিশ্ব। প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে হাজারো মানুষের।

এর ছোবলে দিশেহারা ইউরোপ-আমেরিকাবাসী। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সপ্তাখানেক বাদেই ভয়বহতার রূপ দেখবে বাংলাদেশও।   

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন স্পেশালিস্ট লেলিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণের ভয়াবহতার সময় আমরা মনে করতে পারি। যদি কোনও চিকিৎসা সেবা বা সতর্কতা না নেয়া হয় তবে রোগতত্ত্ব অনুযায়ী এরা কিছু সংখ্যায় ছড়াতে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটা ৫-২০ লাখ হতে পারে।

এমন উদ্বেগ-আতঙ্কে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ? কী কী পদক্ষেপের পরিকল্পনা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে সেনাবাহিনী পর্যন্ত সব মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত আছেন। আমরা আশা করবো সাধারণ মানুষও আমাদের সাহায্য করবেন।

গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে জনসচেতনতার কথা বলা হলেও এখনও নির্বিকার দেশের অনেক মানুষ। তাই ছুটি পেলে দল বেঁধে কাধে-কাধ মিলিয়ে গ্রামের পথ ধরেন তারা। কাজের জন্য ফেরেনও একইভাবে। বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও থোরাই তোয়াক্কা তাদের।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, সরকার সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নামায় দিয়েছে রাস্তায়, এখন সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে এটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

সীমাবদ্ধতা আর অনেক না পাওয়ার মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রিভেন্টিভ মেডিসিন স্পেশালিস্ট লেলিন চৌধুরী বলেন, ইতাতি স্পেনের থেকে আমাদের আবহাওয়া ভিন্ন।

এরই মধ্যে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন বাংলাদেশের মত পরিবেশে এসে করোনাভাইরাস তার জিনগত পরিবর্তনও করতে পারে। যদি তেমন হয়ে থাকে তবে আক্রমণের তীব্রতা কম হবার প্রবণতা থাকতে পারে।

এককভাবে শুধু সরকার, চিকিৎসক সমাজ বা জনগণ নয়; এই ভয়বাহতা মোকাবেলায় দরকার, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। চ্যানেলটোয়েন্টিফোর।

এসএমএম

আরও পড়ুন