• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২০, ০৫:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৭, ২০২০, ০৫:৩২ এএম

কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি

দেশের প্রথম প্লাজমাদাতা দুই করোনাজয়ী চিকিৎসক

দেশের প্রথম প্লাজমাদাতা দুই করোনাজয়ী চিকিৎসক
প্লাজমাদাতা দুই চিকিৎসক ডা. দিলদার হোসেন বাদল (বায়ে) ও ডা. রওনক জামিল পিয়াস (ডানে)- ছবি সংগৃহিত

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি ব্যাধি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতি অনুসরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্লাজমা (রক্তরস) সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আর এক্ষেত্রে প্রথম প্লাজমাদাতা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন করোনাজয়ী দুই চিকিৎসক।

শনিবার (১৬ মে) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্লাজমা সংগ্রহের উদ্বোধনের পর ওই দুই চিকিৎসকের প্লাজমা নেয়া হয়।

এ দুই চিকিৎসক হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. দিলদার হোসেন বাদল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ডা. রওনক জামিল পিয়াস। অবশ্য মিটফোর্ডের ডা. হাছিবুল ইসলামও প্লাজমা দিতে আসেন, তবে তারটা নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্লাজমা হলো রক্তের জলীয় অংশ। রক্তের তিন প্রকারের কণিকা বাদ দিলে যে বাকি অংশ থাকে, সেটাই রক্তরস। কোনো মেরুদণ্ডী প্রাণীর শরীরের রক্তের প্রায় ৫৫ শতাংশই হলো রক্তরস। সেরে ওঠা ব্যক্তির রক্তরস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দিয়ে চিকিৎসা দেয়ার এ প্রাচীন পদ্ধতি প্লাজমা থেরাপি নামে পরিচিত। করোনাভাইরাস চিকিৎসায়ও এই পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে ভালো ফলাফল দিতে থাকায় বাংলাদেশেও তা যাত্রা করলো।

এ বিষয়ে প্লাজমা-সংক্রান্ত সরকারি কারিগরি উপ-কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলোজি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ খান বলেন, ‘সংগ্রহ করা প্লাজমা পরীক্ষা করে দেখা হবে এতে অ্যান্টিবডি কতটুকু আছে। পরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগীর শরীরে পুশ করতে পারবো। সাধারণ জনগণ যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, তারা যেন প্লাজমা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেন, সে আহ্বান জানাই আমরা।’

ঢামেক হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন বলেন, ‘এমন না যে প্লাজমার চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে। এখন আমরা রিসার্চ করছি। কার শরীরে কতটুকু অ্যান্টিবডি আছে তা দেখা হবে। সেটা দেখে আমরা ব্লাড ট্রান্সফার করবো। একজনের শরীরে ১:১৬০ অ্যান্টিবডি থাকতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ, এটা যেন সঠিক মাত্রা ছাড়া প্রয়োগ না করে।’

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত। আমরাও আক্রান্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আজ থেকে শুরু হলো প্লাজমা নেয়া। ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হবো।’

এরইমধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতি অবলম্বনে সাফল্য অর্জনের পর এবার সে পথে পা বাড়ালো বাংলাদেশও।

এসকে

আরও পড়ুন