• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২০, ০২:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০২০, ০৩:১৬ পিএম

কোভিড-১৯

একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ২৪, শনাক্ত ১৬৯৪

একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু ২৪, শনাক্ত ১৬৯৪
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা

আক্রান্তের ৭৬তম দিন

....

৭৬তম দিনে এসে আবারও একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২৪ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ৪৩২ জনের।

জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ৯, বরিশালে ১ এবং ময়মনসিংহে ১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে ৮ এবং মৃত অবস্থায় এসেছে ১ জন।

বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন। ২৪ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। 

গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ১ হাজার ৬৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৩০ হাজার ২০৫ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬ হাজার ১৯০ জন।

শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

মোট ৪৭টি ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৯ হাজার ৯৯৩ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭ টি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৪১ টি।

দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ২২৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৪ হাজার ৬০ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ২৮ জন।

যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনও নিজ ঘরে থাকেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) শনাক্ত হয় ১৭৭৩ ও মারা যায় ২২ জন। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে সর্বাধিক ১ হাজার ১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১, ২০ মে ১৬১৭ ও ২১ মে ১৭৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ বিশ্বজুড়ে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ছাড়াল প্রাণহানি। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪ হাজার ৮৩৩ জন। নতুনভাবে এক লাখ ৬ হাজারের মতো মানুষের শরীরে মিলেছে কোভিড-১৯, যা ভাইরাসটি বিস্তারের পর থেকে রেকর্ড।

সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ লাখের কাছাকাছি। একদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারালেন ১৩০০র বেশি। আরও ২৮ হাজারের মতো রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে।

করোনার বর্তমান হটস্পট ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১১০০ মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশটিতে ২০ হাজার ছাড়ালো প্রাণহানি। আক্রান্ত ৩ লাখ ১০ হাজারের ওপরে।

রাশিয়াতে মৃত্যুহার কম হলেও সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। দেশটিতে ৩ লাখ ১৮ হাজারের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত।

ইউরোপের দেশগুলোয় লক্ষ্যণীয়ভাবে নেমে এসেছে মৃত্যু আর আক্রান্তের সংখ্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ, সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দরিদ্র দেশগুলোয় এখন ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।

এসএমএম

আরও পড়ুন