আক্রান্তের ৭৮তম দিন

....

৭৮তম দিনে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মারা গেছেন আরও ২৮ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ৪৮০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ১ হাজার ৫৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৩৩ হাজার ৩৭৩ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬ হাজার ৯০১ জন।

রোববার (২৪ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

মোট ৪৭টি ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৯ হাজার ১৮৪ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ৯০৮ টি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৩ টি।

দেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

শনিবার (২৩ মে) শনাক্ত হয় ১,৮৭৩ ও মারা যায় ২০ জন। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে সর্বাধিক ১ হাজার ১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১, ২০ মে ১৬১৭, ২১ মে ১৭৭৩, ২২ মে ১৬৯৮, ২৩  মে ১,৮৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ হাজার ১০০ মানুষ। আর ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ মানুষ। এ নিয়ে বিশ্বে মোট মৃত্যে সংখ্যা ৩ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়াল। আর আক্রান্ত ৫৩ লাখ ৯৭ হাজার।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, চিলি ও পেরুতে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বেড়েছে। মেক্সিকোতেই বেড়েছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।

শনিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৩৬ জন মানুষ মারা গেছেন। একই সঙ্গে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার। ওদিকে ব্রাজিলে মারা গেছেন ৯৬৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১৬ হাজার।

মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৭৯ জন, পেরুতে ১২৯ জন ও যুক্তরাজ্যে ২৮২ জন মানুষ।

সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণে আসায় জুলাই থেকে পর্যটন খাত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেন।

ফ্রান্সে ধর্মীয় জনসমাগমে তুলে নেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

প্রায় ৩ মাস বন্ধ রাখার পর জুনের ১ তারিখ থেকে খুলে দেয়া হবে ভ্যাটিকান সিটির জাদুঘরগুলো। আর ঈদকে ঘিরে রোববার  ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।

এসএমএম