• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২০, ০২:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৭, ২০২০, ০৪:০৮ পিএম

কোভিড-১৯

বেড়েই চলছে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা

বেড়েই চলছে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা

আক্রান্তের ৮১তম দিন

....

শনাক্তের ৮১তম দিনে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মারা গেছেন আরও ২২ জন। ২২ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৫৪৪ জনে। 

জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রামে ১০ এবং সিলেটের ২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন এবং বাড়িতে ১ জন।

বয়সের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ১ হাজার ৫৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন।

বুধবার (২৭ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৪৮টি ল্যাবে বর্তমানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭ হাজার ৮৪৩ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এখান থেকে এবং আগের কিছু মিলিয়ে ৮ হাজার ১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি।

নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ২৮১ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৪ হাজার ৯৯৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮০ জন।

যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনো নিজ ঘরে থাকেন।

মঙ্গলবার (২৬ মে) শনাক্ত হয় ১,১৬৬ ও মারা যায় ২১ জন। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে সর্বাধিক ১ হাজার ১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১, ২০ মে ১৬১৭, ২১ মে ১৭৭৩, ২২ মে ১৬৯৮, ২৩ মে ১,৮৭৩, ২৪ মে ১,৫৩২,  ২৫ মে ১৯৭৫ ও ২৬ মে ১,১৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো সাড়ে তিন লাখ। ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাইরাসটি। মোট আক্রান্ত ৫৭ লাখ মানুষ। নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৯৪ হাজারের বেশি।

মঙ্গলবার (২৬ মে) সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে, মহামারির এখনকার হটস্পট ব্রাজিল। এদিন এক হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে দেশটিতে। মোট মৃত্যু ২৫ হাজারের কাছাকাছি। আক্রান্ত প্রায় চার লাখ মানুষ। নতুন করে সাড়ে ৭০০ মৃত্যুর পর, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ছুঁয়েছে লাখের কোটা। আক্রান্ত সোয়া ১৭ লাখ। মহামারির পাঁচ মাসে প্রথমবার রেকর্ড পৌনে ২০০ প্রাণহানি হয়েছে রাশিয়ায়।

সংক্রমণে তৃতীয় শীর্ষ দেশটিতে আক্রান্ত তিন লাখ ৬২ হাজার মানুষ। যুক্তরাজ্য-ইতালি-স্পেন-ফ্রান্সসহ ইউরোপের সব দেশেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিম্নমুখী গ্রাফ অব্যাহত।

এসএমএম

আরও পড়ুন