• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২০, ০২:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২০, ০৩:০১ পিএম

কোভিড-১৯

সর্বাধিক মৃত্যু ৪২, নতুন শনাক্ত ২,৭৪৩ জন

সর্বাধিক মৃত্যু ৪২, নতুন শনাক্ত ২,৭৪৩ জন
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা

 আক্রান্তের ৯২তম দিন 

.....

গত ২৪ ঘণ্টা দেশে মারা গেছেন আরও ৪২ জন। এর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৮৮৮ জনে। 

জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রামে ৮, সিলেটের ২, রাজশাহী ২ জন, খুলনায় ২ জন এবং ময়মনসিংহে ১ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বাড়িতে ১২ জন।

বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ২ হাজার ৭৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৩ হাজার ৯০৩ জন।

রোববার (৭ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৫২টি ল্যাব থেকে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১২ হাজার ৮৪২ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১৩ হাজার ১৩৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৭ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ৪৬৭ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৭ হাজার ৩৯৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩০ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৫ জন।

যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনো নিজ ঘরে থাকেন।

শনিবার (৬ জুন) শনাক্ত হয় ২ হাজার ৬৩৫ ও মারা যায় ৩৫ জন। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এর পর ধারবাহিকভাবে বাড়তে থাকেশনাক্তের সংখ্যা। চলতি মাসের ১ জুন ২,৩৮১, ২ জুন ২,৯১১, ৩ জুন ২৬৯৫, ৪ জুন ২৪২৩, ৫ জুন ২,৮২৮  ও ৬ জুন ২,৬৩৫ জন শনাক্ত হয়।

দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। এ ছুটি আরেক দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়।

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার (৭ জুন) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩২১ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫৮ জনে। 

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪৩০ জন এবং দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৭৯১ জন, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।  

যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় খারাপ অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। এরপরই রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেন।  

করোনাভাইরাস মহামারিতে শনিবার (৬ জুন) পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪৬ জনে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস।  

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এসএমএম

আরও পড়ুন