• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২০, ০৯:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২০, ০৯:৫০ পিএম

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাল আইসিডিডিআর,বি

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাল আইসিডিডিআর,বি
ইন্টারন্যাশনাল আইসিডিডিআর,বি- এর নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমেনস ● ফাইল ছবি

ঢাকা শহরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণের হিসাব নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি)। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর রোববার (৭ জুন) এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, প্রতিবেদনে তাদের নির্বাহী পরিচালকের বক্তব্য প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে’ শিরোনামে শুক্রবার (৫ জুন) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইকোনমিস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল আইসিডিডিআর,বি- এর নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমেনসের হিসাব অনুযায়ী ঢাকায়  এরই মধ্যে সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অথচ সরকারি হিসেবে এ সংখ্যা ৬০ হাজারের কম।

প্রতিবেদনে উদ্ধৃত বক্তব্যের ব্যাখা দিয়ে আইসিডিডিআর,বি-এর বিবৃবিতে বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কত হতে পারে জানতে চাওয়ায় অধ্যাপক ক্লেমেনস বলেছিলেন, মহামারি শুরুর পর থেকেই আইসিডিডিআর.বি তাদের কর্মীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় রেখেছে। কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ থাকলে তাদের ২৪ ঘণ্টার হটলাইনে স্টাফ ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে আইসিডিডিআর,বির ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া আছে। আর যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, আইডিসিআরের সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা ও আইসোলেশন নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং কন্ট্যাক্ট্র ট্র্যাকিং হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাদের মহাখালী ক্যাম্পাসে প্রায় ২ হাজার কর্মী কাজ করেন এবং তাদের ৪ থেকে ৫ শতাংশ কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, যদিও আইসিডিডিআর’বি ক্যাম্পাসের সঙ্গে তাদের সংক্রমিত হওয়ার কোনও যোগসূত্র মেলেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইসিডিডিআর,বির ৪ থেকে ৫ শতাংশ কর্মী আক্রান্ত হওয়ার এই হার পুরো ঢাকা শহরের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পরিস্থিতিকে বোঝায় না। আর এই হার ধরে পুরো শহরের পরিস্থিতির তুলনা করাটাও যৌক্তিক নয়। এই সংখ্যাকে কেউ যদি পুরো ঢাকার জনসংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে তুলনা করতে যান, তখন মোট শনাক্তের সম্ভাব্য সংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে সাত লাখ।

এসএমএম

আরও পড়ুন