• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২০, ০৪:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০২০, ০৪:৫৮ পিএম

কোভিড-১৯

দেশের সংক্রমণ মাত্রা কমেছে

দেশের সংক্রমণ মাত্রা কমেছে
প্রতীকী ছবি

‘বাংলাদেশে হতে পারে চীনের টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল’

.........

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধী হিসেবে চীনে চলমান ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। 

তিনি জানান, ওই ট্রায়েলের সূত্র ধরে বাংলাদেশেও ওই ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হতে পারে। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা মোকাবেলায় আরেক ধাপ সাফল্য বয়ে আনবে।

শুক্রবার (২৬ জুন) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের আয়োজনে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে তিনি এ তথ্য জানান। 

এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার রশিদ-ই-মাহবুব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার এম এস ফয়েজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার ইকবাল আর্সেনাল, আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন ছাড়াও আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশে গত ছয় মাস ধরে যে কার্যক্রম সে ব্যাপারে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ, কার্যক্রম বাস্তবায়ন, হাসপাতাল ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত গবেষণা, কেনাকাটাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে নানা ধরনের ঘাটতি ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। যদিও শুরুর দিক থেকে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তবু এখনও পর্যাপ্ত হচ্ছে না। এছাড়া জোন সিস্টেম নিয়েও মানুষের এক ধরণের বিভ্রান্তি রয়েছে।

সংক্রমণের মাত্রা হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, আগে দেশে আক্রান্ত একজন থেকে আরও দু’জনের বেশি হারে এই ভাইরাস ছড়াতে পারত। কিন্তু এখন সেই রিপ্রডাকশন রেট বা আর রেট নেমে এসেছে ১.০৫-এ। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। এখন নিচে নামাতে পারলে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে। তাছাড়া এখনও প্রতিদিন সংক্রমণের যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে তা অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, আমাদের দেশে আর রেট হঠাৎ করে খুব উঁচুতে ওঠার মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আমাদের এখন লক্ষ্য, আর রেটকে আরও নিচের দিকে নামিয়ে আনা যায়।

এসএমএম

আরও পড়ুন