• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২০, ০৮:৩২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৭, ২০২০, ০৮:৩২ এএম

অনিয়মের আখড়া রিজেন্ট হাসপাতাল

অনিয়মের আখড়া রিজেন্ট হাসপাতাল
সংগৃহীত ছবি

লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে ৬ বছর আগে। তবু চিকিৎসা চলছিলো বহাল তবিয়তে। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদফতরও দিয়েছিলো, বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতালের স্বীকৃতি। নানা অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুর শাখায় সোমবার (৬ জুলাই) বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে  অভিযান চালায়  র‍্যাব। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল অর্থাৎ নানা  বিস্ময়কর সব তথ্য। টেস্ট না করেই রিপোর্ট, অতিরিক্ত বিল আদায় সবই চলতো পর্দার আড়ালে। আর এসব কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক আটজনকে আটক করা হয়েছে।

বেসরকারি একটি চ্যানেলেরঅনুসন্ধান চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যেই, কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে এলো সাপ। রিজেন্ট হাসপাতাল যেন অনিয়মের আখড়া।

বিকালে হাসপাতালটির উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় র‍্যাব। যাতে একে একে বেরিয়ে আসে অসংখ্য ভুয়া রিপোর্ট, মনগড়া বিলসহ অনিয়মের নানা অনুসঙ্গ।

রিজেন্টের নিবন্ধনের মেয়াদ পেরিয়েছে ২০১৪ সালেই। তবুও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতালের স্বীকৃতি পেয়েছে হাসপাতালটি। কীভাবে, কার আর্শিবাদে? চিকিৎসক ও কর্মীদের দাবি, জানতেন না এসবের কিছুই।

অভিযানকালে ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের খরচের খতিয়ান। বিশেষ কোনও চিকিৎসা ছাড়াই স্রেফ ওষুধ আর থাকার খরচই দিনপ্রতি দশ হাজারের উপরে।

সারোয়ার আলম জানান, করোনার টেস্ট না করেই রিপোর্ট দিতো রিজেন্ট হাসপাতাল। অভিযানে অসংখ্য ভুয়া রিপোর্টের কাগজ, বিলসহ নানা অনুষঙ্গ জব্দ করা হয়েছে। হাসপাতালটির নিবন্ধনের মেয়াদও ২০১৪ সালে শেষ হযেছে। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর, একে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসাবে অনুমোদন দিয়েছে।

চিকিৎসক ও কর্মীদের দাবি, এসবের কিছুই জানতেন না তারা। অভিযানকালে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন নানা অভিযোগ। একই সময়ে হাসপাতালের মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালায় র‍্যাব।

একই সময়ে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালায় র‍্যাব।

কেএপি

আরও পড়ুন