করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের ভুয়া রিপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন জাল সনদ তৈরি ও বিক্রির ঘটনায় কুমিল্লার চান্দিনা থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে চান্দিনা বাজার এলাকার বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মোর্শেদ আলম দেবীদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
কুমিল্লা র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কমান্ডিং অফিসার তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, গোপন সংবাদে র্যাব জানতে পারে- চান্দিনা উপজেলা বাজারে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানে বিভিন্ন ধরনের জাল রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট তৈরি ও বিক্রি হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্টও সে তৈরি করে দেয়।
তিনি জানান, এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা পরিচয় গোপন রেখে প্রতারক মোর্শেদের কাছে করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট চায়। র্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় মোর্শেদ। ল্যাবএইড হাসপাতালের নাম ব্যবহার করে জাল করোনা পজিটিভ রিপোর্ট তৈরি করে দেয় সে। পরে রোববার সকালে র্যাব বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ থেকে মোর্শেদকে গ্রেফতার করে।
নাজমুস সাকিব আরও জানান, মোর্শেদ আলম ফটোশপ ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট, জাল একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের নামে বিভিন্ন লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। এসব রিপোর্টের জন্য সে লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক সার্টিফিকেটও মোর্শেদ জাল তৈরি ও বিক্রি করে প্রতারণা করে আসছিলো।
র্যাব জানায়, বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া সনদ, কম্পিউটার, প্রিন্টার ও স্ক্যানার জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কেএপি