• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২০, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২০, ০৩:১৪ পিএম

যে কারণে মুলা খাবেন

যে কারণে মুলা খাবেন

শীতের সবজি মুলা। বহুগুণে গুণান্বিত এ সবজি।  শারীরের  বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এর জুড়ি মেলা ভার। অনেকেরই খুব পছন্দ এটি। আবার অনেকে একদমই পছন্দ করেন না। কিন্তু বহুগুণের এই সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। কাঁচা কিংবা রান্না করে দুইভাবেই খাওয়া যায়। দুভাবেই দেহে পুষ্টি জোগায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুলাতে বিভিন্ন ধরনের মিনারেসল রয়েছে। আরো আছে ফাইটোকেমিক্যালস, যা অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। জেনে নিন মুলার উপকারিতা। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে
মুলা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত কার্যকরী। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
মুলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। 

জন্ডিস নিরাময়ে
জন্ডিস রোগীদের জন্য মুলা খুব উপকারি। যাদের জন্ডিস হয়েছে বা যারা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, তাদের অবশ্যই লবণের সঙ্গে কাঁচা মুলা খাওয়া উচিত। কারণ মুলা রক্তে বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। এছাড়াও এটি রক্ত পরিশোধন করে। 

কিডনি ভালো রাখতে
মুলা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিডনির যেকোনো সমস্যা রোধে মুলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধে
শীতে সবচেয়ে বেশি যে শারীরিক সমস্যা হয় তা হলো সর্দি-জ্বর। নিয়মিত মুলা খেলে এসব সমস্যা কম হবে। এছাড়া মুলা খাওয়ার আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আমাদের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে।

গ্যাসের সমস্যা দূর করতে
অনেকেই পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। অনেকে মনে করেন মুলা খেলে পেটের গ্যাস আরো বাড়ে। কিন্তু এমন কিছুই নয়। মুলা খেলে পেটের গ্যাস কম হয়। এছাড়াও হজম প্রক্রিয়ার জন্যও এটি খুবই ভালো। এতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
মুলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারি। এটি  রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীরা এটি নিয়মিত খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।