• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২১, ১২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৬, ২০২১, ১২:১৯ পিএম

কিডনির ঘাতক ৬ খাবার

কিডনির ঘাতক ৬ খাবার

সারাবিশ্বে প্রতিবছর অনেকের মৃত্যু হচ্ছে কিডনি রোগে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। নীরব এ ঘাতকটির চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন না নিলে হতে পারে ভয়াবহ পরিণতি।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ডাক্তারি পরামর্শসহ অধিক যত্নশীল হতে হবে খাবার খাওয়ার ব্যাপারে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চেনা  এমন কিছু খাবার রয়েছে যা বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে এ রোগটি। চলুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো আমাদের এই রোগের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে-

মাংস
স্বাদের খাতিরে মাংস খেতেই পারেন কিন্তু অতিরিক্ত মাংস খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। মাংস এমনিতে হজম হওয়া বেশ কষ্টকর। ফলে এটি কিডনির ক্ষেত্রে বোঝা হয়ে ওঠে। এছাড়া এটি ইউরিক অ্যাসিডও তৈরি করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রাণিজ প্রোটিন বাদ দিয়ে মাছ বা ডাল রাখুন নিয়মিত খাদ্যতালিকায়।

লবণ
অতিরিক্ত লবণ খেলেও প্রভাব পড়ে কিডনিতে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনির বড় শত্রু। অনেকে ভাতের সাথে কাঁচা লবণ খান। এই অভ্যাসটিও ত্যাগ করতে হবে। মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। এর বেশী পরিমানে লবণ  শরীরে প্রবেশ করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। আর কিডনি ভালো রাখতে হলে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া প্যাকেটজাত খাবারেও লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এটাও পরিহার করতে হবে।

কলা
দেহে ক্যালসিয়াম ও এনার্জির ঘাটতি পূরণে কলা কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে এ খাবারটি খেতে কড়া নিষেধ থাকে ডাক্তারদের। এক্ষেত্রে খাবার তালিকা থেকে কলা বাদ দেওয়াই উচিত হয়। মাঝারি সাইজের একটি কলায় ৪২২ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে ৷ এই পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে আনে।  

কমলালেবু
ভিটামিন সি চাহিদা পূরণে আমরা অনেকেই কমলালেবু অনেক পরিমাণে খেয়ে ফেলি। এটাও ক্ষতিকর। কারণ লেবুতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা আমাদের কিডনিতে গিয়ে জমা হয়। শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি এর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  

কোমল পানীয়
কোমল পানীয় কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকে প্রচুর পরিমাণে এটা খেয়ে থাকেন। এটা খাওয়া পরিহার করতে হবে। আপনি প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি খান। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

জাঙ্ক ফুড
চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার তালিকা থেকে তাই এই খাবারগুলো বাদ দেওয়াই ভালো। অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দুর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।