• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২১, ১২:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২১, ১২:৩১ এএম

ভ্যাকসিনের বিকল্প ‘ওরা প্রো’ ট্যাবলেট

ভ্যাকসিনের বিকল্প ‘ওরা প্রো’ ট্যাবলেট

ইনজেকশনের সুই দেখলে যারা ভয়ে কাঁপতে থাকেন, তাদের জন্য সুখবর! করোনা টিকার বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য ট্যাবলেট বা ওষুধের বড়ি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইওএস-বায়ো। সাসেক্সের প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে প্রাণীদেহে করোনার বিরুদ্ধে ‘ওরা প্রো’ ট্যাবলেটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ঔষধ প্রস্তুতকারী ফার্ম ইমিউনিটি বায়োর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মানবদেহে এটি পরীক্ষার প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে হিউম্যান ট্রায়ালে সফলতা পেলেই এই ওষুধ বাজারজাত করার অনুমোদন পাওয়া যাবে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে দ্য টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, ‘ওরা প্রো’ ট্যাবলেটের মাধ্যমে বানরের দেহে করোনা প্রতিরোধে সফল হয়েছে আইওএস বায়ো। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিন ধাপের মধ্যে দুটিতেই ওষুধটি পরীক্ষিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্যের স্বেচ্ছাসেবকদের ওপরও পরীক্ষা চালানো হবে। ট্যাবলেট খাওয়ার পর তাদের করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রমাণিত হলেই  এটি বাজারজাতের জন্য আবেদন করা হবে। তাই অনুমোদন পেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।

গবেষকরা বলছেন, টিকার চাইতে বড়ির কার্যকারিতা যেমন বেশি তেমনি পরিবহণ ও সংরক্ষণও সহজ। তাই এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। আইওএস বায়োর প্রধান নির্বাহী ওয়েইন চ্যানিং জানান, “ট্যাবলেট ওষুধ পরিবহণের জন্য কোন বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। ওরা প্রো বড়ি আপনি অ্যামাজনের মতো অনলাইন মার্কেট থেকেও কিনতে পারবেন। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকেই এটি কেনা সম্ভব।”

৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও কার্যকর থাকবে ওরা প্রো। খাওয়ার পর এটি সরাসরি পাকস্থলীতে পৌঁছে দেহের আবরণী কোষগুলোকে করোনা প্রতিরোধী করে তুলবে। ওয়েইন চ্যানিং বলছেন, “করোনাভাইরাস মূলত দেহের অভ্যন্তরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর আবরণী স্তর ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে। আমরা যখন ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা নেই তখন টিকার উপাদানগুলো আমাদের পেশি ও রক্তকোষের মাধ্যমে আবরণী কলায় পৌঁছায়। কিন্তু আমাদের ট্যাবলেট সরাসরি দেহে প্রবেশ করে আবরণী কলার ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। আমরা মনে করি এটি করোনা প্রতিরোধের অভূতপূর্ব প্রযুক্তি।”

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে আইওএস বায়ো। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই এটি প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ প্রস্তুতের চেষ্টা করছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে মানবেদেহে ‘ওরা প্রো’ এর কার্যকারিতা প্রমাণ হলে আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুযোগ লুফে নেবে।

আরও পড়ুন