• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২১, ০২:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৩:৪৪ পিএম

কলা কেন খাবেন?

কলা কেন খাবেন?

কলা, সারাবছর পাওয়া যায় এ ফলটি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম। যা শক্তি বৃদ্ধি করতে ও ক্ষুধা দূরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আপনি কলা রাখতে পারেন।

অনেকেই সকালে কলা খেতে পছন্দ করেন না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। তবে খালি পেটে কখনোই কলা খাওয়া ঠিক না। এর আগে আপনি খেতে পারেন ২টি বিস্কুট বা একমুঠো মুড়ি। কলার উপকারিতা নিয়ে থাকছে আজকের এই আয়োজন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
অনেকেই মনে করেন, কলা খেলে ওজন বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকা থেকে এই ফলটি বাদ দিয়ে দেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। সকালে একটি কলা শরীরে চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কলায় কোলিনসহ সব ধরনের ভিটামিন বি আছে। যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত সকালে কলা খেতে পারেন।

শরীরে পানির চাহিদা পূরণে
প্রতিদিন সকালে নাস্তায় কলা রাখুন। কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল। এই উপাদান শরীরের জন্য উপকারি। যা সারাদিনে শরীরে পানির চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে।

ত্বক উজ্জ্বল রাখতে
ত্বকের যত্নেও কলা উপকারি। কলার খোসায় ফ্যাটি উপাদান পাওয়া যায়। যা ত্বকে লাগালে ময়েশ্চারাইজারের মতো উপকার পাওয়া যায়। আবার এটি ব্রণ সমস্যার সমাধানেও সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানে
যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে তারা প্রতিদিন একটা কলা খেতে পারেন। এটি আপনাকে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। যারা আলসারের সমস্যা আছে তারাও খেতে পারেন কলা।

খাদ্য হজমে সহায়তা
কলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার ও প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড। যা হজমে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে শরীর আরও বেশি পরিমাণে পুষ্টি সঞ্চয় হবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
কলার মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম এবং সামান্য লবণ আমাদের হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

অ্যানিমিয়া রোগের প্রকোপ কমাতে
কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এটি শরীরে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করে। যা অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই যারা এই রোগে ভুগছেন তারা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত কলা খেতে পারেন।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে
কলার মধ্যে রয়েছে এমাইনো এসিড যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম এটি বিষন্নতা রোধে কাজ করে।