• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০১:৪৬ পিএম

শীতে বেশি ঘুম কেন হয়?

শীতে বেশি ঘুম কেন হয়?

শীতে কেন বেশি ঘুম পায়, এর কারণ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঋতুভেদের সঙ্গে শরীর ও মনেরও কিছু পরিবর্তন হয়। এই কারণে শীতের সময়টাতে ঘুমের পরিমাণও অনেকের ক্ষেত্রেই বেড়ে যায়। এই বেশি ঘুমের সমাধান কী হতে পারে, তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। চলুন দেখে নিই বিষয়গুলো।

দিনের সময়টা কমে যায়

শীতে দিনের সময়টা ছোট হয়ে যায়। সূর্যের আলো কম পাওয়া যায়। সূর্যের আলোর ঘাটতি মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আলো ও আঁধারের সঙ্গে এই হরমোনের একটি যোগ রয়েছে। এর কারণেই ঘুম বেড়ে যায়। কাজের রুটিনেও এর প্রভাব পড়ে। ঘরে সূর্যের আলোর প্রবেশ নিশ্চিত করুন। ঘুম থেকে উঠেই জানালা খুলে দিন। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলোর কাছাকাছি থাকুন। প্রয়োজনীয় কাজগুলো দিনের আলোতে করার চেষ্টা করুন।

ভিটামিন-ডির অভাব

ভিটামিন-ডিএর অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। এর অভাবে শরীরে ক্লান্তি বোধ হয়। এতে ঘুমও বেড়ে যায়। এর কারণে শীতের সকালে সূর্যের আলোতে বেশ খানিকটা সময় কাটানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া এই ভিটামিন পেতে তেলযুক্ত মাছ, স্যামন, সারডিন, ম্যাকরেল ইত্যাদি মাছও খেতে পারেন। ডিমও হতে পারে শরীরের ভিটামিন-ডির আরেকটি উৎস। যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন তারা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে

পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও সারা দিন ক্লান্তিবোধ হয় এবং ঘুমঘুম ভাব হয়। শীতের সময়ও প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যতই কাজ থাকুক নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস রাখুন। এতে শরীরের জড়তা, আলস্য ভাবও কেটে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেহের সুস্থতা নির্ভর করে কতটুকু ঘুমাচ্ছি এবং কত সকালে উঠছি তার ওপরে। এই অভ্যাস আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি আর কর্মস্পৃহার ওপর প্রভাব ফেলে।